নির্দেশনা মানছে না চালের মিল মালিকরা
তৌহিদুর রহমান
প্রকাশিত : ১০:২৩ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২৪ সোমবার | আপডেট: ১০:২৬ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২৪ সোমবার
চালের বস্তায় উৎপাদনের তারিখ, দাম এবং ধানের জাত উল্লেখ করার সরকারি নির্দেশনা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। আড়ৎ ও দোকানে আগের মতই মিলছে চালের বস্তা। এদিকে, পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিক্রেতারা।
চালের বাজারমূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে গেলো ফেব্রুয়ারিতে একটি নির্দেশনা জারি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এতে মিল মালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রতিটি চালের বস্তার ওজন, উৎপাদনের তারিখ, মিলগেট মূল্য এবং ধানের জাত উল্লেখ রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়। একই সাথে চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট জেলা এবং উপজেলার নামও উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর করার কথা থাকলেও বাজারের বেশিরভাগ কোম্পানি এটি মানছে না।
এমনকি পাটের বস্তায় চাল বিক্রির বহুদিন আগের নির্দেশনাটিও অনেক কোম্পানি এখনও বাস্তবায়ন করেনি।
চাল ব্যবসায়ীরা জানান, যেগুলো নতুন করে উঠবে সেগুলোতে আসবে। কিন্তু ধানের নাম এখনও আসেনি, বস্তার গায়ে শুধু রেট লেখা রয়েছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের এসব নিদের্শনা বাস্তবায়ন হলে চালের দাম আরও বাড়বে।
ব্যবসায়ীরা জানান, মিল রেট যেটা বস্তায় লেখা থাকবে সে দামে নিতে পারলেও ক্রেতা খুশি। কিন্তু আমি যদি বলি ক্রেরিং খরচ ও আমার লভ্যাংশ তা ক্রেতা মানবেনা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আনার খরচ আবার আড়ৎ থেকে নেয়ার খরচ সব মিলিয়ে দাম বেশি পড়বে।
তবে ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতারা কেবল মিলগেট নেয়, পাইকার, আড়তদার এবং খুচরা পর্যায়ে চালের দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
চাল ব্যবসায়ীরা জানান, একটা বস্তার গায়ে তিন থেকে চারটি রেট লেখা লাগবে। প্রথমটা মিলারের, দ্বিতীয়টা আড়ৎদারের, সেখান থেকে আসবে বাজারে সেখানে আরেকটা রেট, বাজার থেকে নিয়ে যারা খুচরা বিক্রি করবে তাদের জন্য থাকবে আরেক রেট। এক রেট দিয়ে এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবেনা।
নির্দেশনা না মানলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে এ সংক্রান্ত আইনে। আর সংশ্লিষ্ট আইনের ধারা-৭-এ শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড।
এএইচ