ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ইবি’র হলের সিট থেকে শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:১৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ১০:২০ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বুধবার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলের সিট থেকে এক শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ (স্নাতক) শিক্ষাবর্ষের লালন শাহ্ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আরমান হোসেনের বিছানাপত্র হল থেকে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ ইবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, লালন শাহ্ হলের ১০৮ নম্বর কক্ষের আরমান নামের উক্ত আবাসিক শিক্ষার্থী পূর্বে থেকেই ৪৩০ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন। পরবর্তীতে লালন শাহ্ হল প্রশাসনের অনুমতিক্রমে ৪৩০ নম্বর কক্ষে আবাসিকতা পরিবর্তন করেন তিনি। কিন্তু, ২৪ এপ্রিল ৪৩০ নম্বর কক্ষ থেকে তার তোষক, বালিশসহ সকল জিনিসপত্র নামিয়ে দিয়ে রাসেল (সমাজকল্যাণ বিভাগ ২০১৯-২০), অনিক (সমাজ কল্যাণ বিভাগ ২০১৯-২০) তার  বন্ধুদের সহযোগে উক্ত কক্ষ জোর করে দখল করে অবস্থান নেয় এবং তাকে সেই কক্ষে অবস্থান করতে বাধা প্রদান করে। 

এতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে উল্লেখ করে হল প্রভোস্ট বরাবর লিখিত দেন।

ভুক্তভোগী আরমান বলেন, ২২ এপ্রিল আমি ৪৩০ নম্বর কক্ষের সিটের জন্য দরখাস্ত জমা দেই, আজ সকালে হল প্রভোস্ট তা মঞ্জুর করেন। যে ভাইয়ের রুমে যাব তার সাথেও ফোনে কথা বলে নিশ্চিত করে দেন। আমি সকালে বাইরে গিয়েছিলাম। ১১টার দিকে এসে দেখি আমার বেডপত্র নাই! রাসেল আমার জিনিসপত্র সরিয়ে তার জিনিসপত্র রেখে দিয়েছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তরুণ ও শাহীন ভাই থাকতে বলছে বলেছে জানায়।

আরমান আরও বলেন, আমাকে বলা হয় যে যতবেশি পলিটিক্যালি অ্যাক্টিভ সে ততো ভালো সিট পাবে, দুই সিটের রুম পাবে। তারা গতকালও এসেছিল। তখন আমি বলেছিলাম আমি লিগ্যালি এখানে মাইগ্রেট করে এসেছি। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাসেল বলেন, আমি ২০৯ নাম্বার রুমে ছিলাম। আরিফ ভাই চলে যাওয়ায় তার সিটে আমার ওঠার কথা ছিল। উনি (আরমান) যখন দরখাস্ত দিছে তখন আরিফ ভাই হলে ছিল, একজন থাকা অবস্থায় তো আরেকজনকে সিট দেওয়া যায় না। আজকে আরিফ ভাই ফাইনালি চলে যাওয়ায় আমি রুম পরিবর্তনের দরখাস্ত দিয়ে এসেছি। এখানে কাউকে সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার বা বেডপত্র সরিয়ে দেওয়ার কোন ঘটনা ঘটে নাই।

এ বিষয়ে লালন শাহ হলের ছাত্রলীগ নেতা শাহীন বলেন, হল প্রশাসন যদি অনুমতি দিয়ে থাকে তবে সে সেই সিটেই থাকবে। ছাত্রলীগ কাউকে সিট থেকে নামিয়ে দিবে না। আমরা ছাত্রলীগ সবসময়ই সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ইবি শাখা ছাত্রলীগ সবসময়ই সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। হলের সিটের ব্যাপারে যদি বলি, যে যেই সিটে বৈধ সে সেখানে সিট পাবে। যদি সিট থেকে নামিয়ে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটে থাকে আমি তা সমাধান করে যার সিট যেখানে তাকে সেখানে যেতে বলবো।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, সিটের জন্য শিক্ষার্থীরা রাজনীতি করবে এটা আমাদের প্রত্যাশা নয়। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করবে। হল প্রশাসন যদি অনুমতি দিয়ে থাকে তবে সে শিক্ষার্থী ওই সিটেই থাকবে।

লালন শাহ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোঃ আকতার হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করবো।

এএইচ