চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩৫ এএম, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার
দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার প্রতিবাদে চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা হতে ১১টা পর্যন্ত চুয়েট প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের আলোচনা চলে। এরপর তারা আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষার্থীরা।
বৈঠক শেষে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। এছাড়াও ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত জানান তারা।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বিবৃতিতে বলেন, একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার ব্যাপারটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভায় পাঠানো হবে। ততক্ষণ হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবেন।
এর আগে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জের ধরে অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বন্ধের বিষয়টি জানানো হয়।
একই সঙ্গে বিকেল ৫টার মধ্যে ও ছাত্রীদের শুক্রবার সকাল নয়টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে হল না ছাড়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদে তারা শাহ আমানত পরিবহনের আটকে রাখা দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এদিকে, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারও উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস।
গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে তিনটায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা (২২) ও দ্বিতীয় বর্ষের তৌফিক হোসাইন (২১) নিহত হন। আহত হন জাকারিয়া হিমু (২১)।
চুয়েটের কাছাকাছি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়ানগর এলাকায় পৌঁছালে তাঁদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বেপরোয়া গতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি যাত্রীবাসী বাস।
দুর্ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত নয়টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীর।
পরে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর গত বুধবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এএইচ