ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৭ ১৪৩১

২১ বছরেও কার্যকর হয়নি পলিথিন নিরোধ আইন (ভিডিও)

ফারজানা শোভা, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪০ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ শনিবার

২১ বছরেও কার্যকর হয়নি পলিথিন নিরোধ আইন। আইনী দুর্বলতার সুযোগে পরিবেশ বিপর্যয়ের এই প্রধান উপাদান এখন রাজধানীসহ সারাদেশেই সহজলভ্য। আর তাই বিশ্বে প্লাস্টিক দূষণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম ৫ এ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিকল্প বাজারে সুলভ না হলে কেবল আইন করে পলিথিন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। 

২০০২ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ সংশোধন করে পলিথিন উৎপাদন, আমদানী, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, মজুদ, বিতরণ, সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন ভাঙ্গলে জেল ও জরিমানার বিধানও আছে। 

কিন্তু বাস্তবতা কী বলছে? শুধু ঢাকায় প্রতিদিন দুই কোটির বেশী পলিথিন ব্যাগ একবার ব্যবহার করে ফেলে দেয়া হয়। বেসরকারী সংস্থা এসডোর সমীক্ষা বলছে দেশে গেল বছরে ৭৮ হাজার টনেরও বেশি পলিথিন বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাজধানী ঢাকায় পাঁচ হাজার ৯৯৬ টন। 

পলিথিন থেকে নির্গত হয় বিষফেনোল নামক বিষাক্ত পদার্থ। যা মানবদেহের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে পলিথিন ব্যাগকে চর্মরোগের এজেন্ট বলা হয়। এছাড়া পলিথিনে মাছ, মাংস মুড়িয়ে রাখলে এতে রেডিয়েশন তৈরি হয়ে খাবার বিষাক্ত হয়।

আইনের চোখ ফাঁকি দিতে কাপড়ের মতো দেখতে এক ধরনের রঙিন পলিথিন টিস্যু বা চায়না টিস্যু ব্যাগে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনেই রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার হচ্ছে। 

এ বিষয়ে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলছেন, উৎপাদন ব্যায় বেশি হওয়ায় বাজারে মিলছে না পরিবেশবান্ধব পাটের সোনালী ব্যাগ।

আর পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, বিকল্প পাটজাত দ্রব্য সুলভ না হওয়ায় আইনের কঠোর প্রয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। তাই পলিথিন বা প্লাস্টিকের রিসাইকেলের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পলিথিন বন্ধে কঠোরভাবে আইন বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। 

এমএম//