স্যার ফজলে হাসান আবেদের জন্মদিনে অজয় দাশগুপ্তের শুভেচ্ছা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ রবিবার | আপডেট: ০৩:৫১ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ রবিবার
প্রবাসী সাংবাদিক, ছড়াকার ও কলাম লেখক অজয় দাশগুপ্ত। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ওয়েব মিডিয়ায় নিয়মিত লিখে চলেছেন তিনি। সমসাময়িক সামাজিক-রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে তার যৌক্তিক ও মননধর্মী বিশ্লেষণে ইতোমধ্যেই তার নিজস্ব পাঠক ভূবন গড়ে উঠেছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) অভিবাসী এ লেখক তার ফেসবুকে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের ৮৮ তম জন্মদিনে শুভকামনা জানান।যা একুশে টেলিভিশন অনলাইনের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল...
"স্বামী বিবেকানন্দ মনে করতেন ধর্ম প্রচারক হবার চাইতেও জরুরী বিনিয়োগকারী হওয়া। মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানুষকে অন্ন যোগানোর চাইতে জরূরী কোন কাজ নাই। থাকতে পারে না।
এই যে আজকাল ধর্মের নামে নিজেদের জাহির করার নামে মানুষের উল্লাস বা আহাজারী একবার ভাবুন তো এতে দরিদ্র মানুষের কোন লাভ হয়? মধ্যবিত্ত নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবরের হাজার হাজার মানুষের আহার আশ্রয় বাঁচার ঠিকানা দেয়া মানুষগুলোকে কি সমাজ সম্মান করে? মনে রাখে?
বড় মাপের মানুষ বলেই অনুরোধে ঢেঁকি গিলতেন না। রাজনীতিতে জড়ান নি। বহু বিখ্যাত থেকে কুখ্যাত মানুষে পরিণত হওয়া বাঙালি ও হন নি।
একাত্তরে হেল্প বাংলাদেশ, এ্যকশান বাংলাদেশ নামের সংগঠন গড়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও এসব নিয়ে মাঠ গরম করেন নি।
বিল ক্লিনটন যেমন তেমনি রাণী এলিজাবেথ ও ভূয়সী প্রশংসায় ছিলেন পঞ্চমুখ। নাইট উপাধি পাওয়ার পর রাণী বলেছিলেন, তিনি দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্ম সংস্থানে পৃথিবীর পথিকৃৎ। এমনটা কারো কারো বেলায় হলে তাদের পা থাকতো হাওয়ায় মাথা আকাশে। তিনি রয়ে গেলেন নিভৃতে নিজ ভুবনে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামোয় এমন পজেটিভ ভূমিকা কোন রাজনৈতিক নেতার আছে? ইনিই দেশপ্রেমিক। এরাই দেশ মাতার খাঁটি সন্তান।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তিনি আমাদের আত্মীয়। প্রিয়তম শ্যালকের শ্বশুর বাড়ীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও অভিভাবক। এক সন্ধ্যায় তাঁর শেষ বেলার গল্প শুনেছি তাদের বাসায়।
রবীন্দ্রনাথ চলে যাবার পর মনে করি আশি বছরই বাঙালির পরমায়ু।সে হিসেবে পরিণত বয়সে তাঁর শেষ যাত্রায় যতটা কষ্ট তারচেয়ে অধিক বিস্ময়। এমন কৃতি বাঙালি এখন যে আর জন্মায় না।
কথায় বড় না হয়ে কাজে বড় আপনাকে শ্রদ্ধা ফজলে হাসান আবেদ। আপনাকে ভুলে যেতে পারে এই মিডিয়া ভুলে যায় এই সমাজ। অথচ চোখ পাতলেই আপনার কীর্তি । আজ যে বাংলাদেশ পৃথিবীতে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে নানা দিক থেকে পাশের বৃহৎ দেশ ভারতকে ও ছাড়িয়ে যাচ্ছে পেছনে বহুদূরে পড়ে গেছে পাকিস্তান এর পেছনে কি শুধু রাজনীতি শুধু সরকার বা অন্যকিছু? মূলত তাঁর মতো মানুষেরাই বাংলাদেশের প্রাণ ।
শুভ জন্মদিন
প্রণাম জানবেন।"
এমএম//