উচ্চতাপে উৎপাদন হারাচ্ছে দেশ, বাড়ছে ব্যয়
শিউলি শবনম
প্রকাশিত : ১১:২৬ এএম, ১ মে ২০২৪ বুধবার
উচ্চতাপে উল্লেখযোগ্য হারে উৎপাদনশীলতা হারাচ্ছে দেশ। এতে অর্থনৈতিক গতি ধীর হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতি বাড়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। পরিবর্তিত পরিস্থিতি সামলাতে তাপসহিষ্ণু নতুন জাত উদ্ভাবনে নজর দেয়ার পরামর্শ তাদের। দিচ্ছেন কৃষি ও গবেষণায় বাজেট বাড়ানোর তাগিদও।
অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য নগরায়ণ ও শিল্পায়ন করে চলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু বেশিরভাগ উন্নয়ন কাজেই উপেক্ষিত পরিবেশ সুরক্ষার দিকটি। ফলে উন্নতির একটি অংশ উল্টো অর্থনৈতিক ক্ষতি করছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তাপদাহ-খরায় বাড়ন্ত আম ঝরে পড়াসহ ফলন কমা, কোথাও ধানে চিটা ধরা এবং ফসলের ক্ষেতে সেচ দিতে না পারাসহ হচ্ছে নানা সমস্যা। গরমে কর্মীদের উৎপাদন ক্ষমতা কমার পাশাপাশি নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে হাঁস, মুরগি, মাছ ও গবাদিপশুও।
হুমকির মুখে সব ধরনের চাষাবাদ। ফলন কমছে কৃষিখাতে। বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন ব্যয়।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “শুধু আম-জাম নয়, বিভিন্ন শাক-সবজির ক্ষেতে সেচ দেয়া দরকার। সেটা অনেক সময় সম্ভব হচ্ছেনা। পশু-পাখি ও মৎস্যখাতও ক্ষতিগ্রস্ত। খামারে হিট স্ট্রোকে অনেক গবাদি পশু মারা যাচ্ছে।”
বিশেষজ্ঞরা তীব্র গরমে ফসলে সেচ নিশ্চিতের তাগিদ দিলেও ভূগর্ভস্ত স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচের পানির যোগানও এখন অনিশ্চিত। বিকল্প হিসেবে কৃষকদের তাপসহিষ্ণু ফসল ফলাতে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ তাদের।
ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “নতুন ধরনের গবেষণার দিকে আমাদেরকে মনোযোগী হতে হবে। বিশেষ করে তাপসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন করতে হবে, তা মাঠে ধারণ করতে হবে। এর জন্য আমাদেরকে অতিরিক্ত বিনিয়োগ দরকার হবে। কৃষি গবেষণার জন্য বেশি বরাদ্দ রাখা দরকার।”
অর্থনৈতিক ক্ষতি কমাতে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নেও জোর দিচ্ছেন গবেষকরা।
এএইচ