ঢাকা, রবিবার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ১৫ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া, হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:১৪ পিএম, ১ মে ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ০৫:৫৭ পিএম, ১ মে ২০২৪ বুধবার

তীব্র গরমে হাঁসফাঁস লক্ষ্মীপুরের জনজীবন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ। 

বিভিন্ন রোগ নিয়ে আসা রোগীরা হাসপাতালে এসেও দুর্ভোগের শেষ নেই। রোগীর তুলনায় চিকিৎসকের অভাব। হাসপাতালের সব জায়গায় নেই ফ্যানের ব্যবস্থা। এতে করে আরো বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া বলেন, "অতি গরমে হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও দ্বিগুণ রোগি। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শয্যা সংকটের কারণে হাসপতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। তার ওপর নানান ভাবে বেড়েছে রুগীদের ভোগান্তি। জেলার এমন চিত্র দেখেছি আমি। সর্ব সাধারণ মানুষের খেদমতে আমি সব সময়  নিয়োজিত আছি; থাকবো ইনশাল্লাহ। ইতোমধ্যে আমি ঠাণ্ডা পানি এবং শরবত সহ বিভিন্ন ধরণের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। পৌরসভার পক্ষ থেকে আমার যা যা করণীয় আমি করবো ইনশাল্লাহ।" 

লক্ষ্মীপুর পৌর ১১নং ওয়ার্ড থেকে জ্বর, ঠাণ্ডা নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা যুবক সাইফুল ইসলাম বলেন, "গত কয়েকদিনের গরমের কারণে জ্বর-ঠাণ্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়ি। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।  আগের থেকেও এখন কিছুটা ভালো আছি।

পৌর ২নং ওয়ার্ড থেকে সন্তানকে নিয়ে আসা কাশেম বলেন, "হাসপাতালে রোগির চাপ বেশি। ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাই বেশিরভাগ রোগির।"

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অরুপ পাল জানান, প্রতিদিনই জ্বর-ঠাণ্ডা, ডায়রিয়া রোগি ভর্তি হচ্ছে। প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে ৪০-৫০জন, মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৪৫-৫০ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৪০-৫০জন চিকিৎসা নিচ্ছে। সপ্তাহে গড়ে ১ হাজার জন সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমাদের ১০০ শয্যা হাসপাতাল। প্রতিদিন রোগি ভর্তি থাকে ৩৫০-৪০০জন। অপর্যাপ্ত লোকবল নিয়ে আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পেতে হয়। তারপরও আমরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।

তীব্র গরমে রোগ থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে বলেন, রোদে না যাওয়া, বাইরে ঘুরাফেরা না করা, প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা ও প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বয়স্করা, শিশু, হার্টের রোগী, ডায়বেটিসের রোগীদের গরমের বাইরে যাওয়া একেবারেই নিষেধ কারণ হিটস্ট্রোক যেন না হয়। বাইরের খাবার যেন আমরা না খাই। হটাৎ বৃষ্টি এলে ভিজবো এরকমটা যেন না হয় এতে জ্বর চলে আসে। চেষ্টা করবো ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে, পানি বেশি খেতে। বাইরে যেতেই হলে ছাতা নিয়ে যাব অথবা মাথার উপরে একটা সুতি জামা কাপড় রাখবো। 
 
সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ কবির বলেন, "হিটস্ট্রোক জনিত রোগির জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এছাড়া গরমের কারণে অসুস্থ হওয়া রোগিদেরও চিকিৎসা চলছে। আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ঔষুধ পত্র রয়েছে। বেড সংখ্যা কম হলেও আমরা অতিরিক্ত রোগিদের ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি।"

এমএম//