শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে ছাড় নয়: প্রধানমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:১৮ পিএম, ১ মে ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ০৩:২০ পিএম, ১ মে ২০২৪ বুধবার
যত প্রভাবশালীই হোক শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মালিকদেরও বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে বললেন সরকারপ্রধান। একই সঙ্গে কারও উস্কানি বা প্ররোচনায় পা দিয়ে নিজের রুটি রুজির ব্যবস্থা যেন ধ্বংস না হয় শ্রমিকদের প্রতি সে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (১ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল দায়িত্ব। তাই শ্রমিকদের কর্মপরিবেশকে উন্নত করেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে মালিকদের যেমন বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে হবে। তেমনি কারও উস্কানিতে নিজের কর্মক্ষেত্র যেন নষ্ট না হয় সেদিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানান সরকার প্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কিছু লোক আছে, কথায় কথায় শ্রমিকদের নিয়ে রাস্তায় নেমে যায়। যে কারখানা আপনার রুটি-রুজির যায়গা, এতে আপনার পরিবারও চলে। সে কারখানা বন্ধ হলে আপনি, আপনার পরিবার ও মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু লাভবান কে? এগুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আমরা চাই, মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষ লাভবান হোক।’
শ্রমিকদের নায্য অধিকার থেকে কেউ বঞ্চিত করলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”কেউ যদি শ্রমিকদের ন্যায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে সে যেই হোক না কেন, যত বড়ই হোক না কেন, যদি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি হলেও আমরা ছাড়ি না, ছাড়বো না। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে, তাদের ভালো মন্দ দেখতে হবে।”
সরকারপ্রধান বলেন, ”মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিলো বিএনপি-জামায়াত জোট। বাস, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চ এমন কিছু নেই যাতে আগুন দেয় নাই। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছি। বিনাখরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।”
মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশটা আমাদের সবার। এ দেশ যত উন্নত হবে, ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে। কারখানা মালিকরা নতুন নতুন বাজার পাবে, তারা লাভজনক হবে। আমাদের শ্রমিকরাও ভালো জীবন পাবে।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কারখানায় আহত নিহত ও শিক্ষা সহায়তায় ১০ জনকে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবির, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান।
এএইচ