ইসলামাবাদে কিশোরীকে অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৮ পিএম, ৩ মে ২০২৪ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৪৩ পিএম, ১৫ মে ২০২৪ বুধবার
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এক কিশোরীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার চারদিন পর ফুলগ্রান থানায় করা মামলায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডন জানিয়েছে, ধর্ষণ ও মামলার বিষয়টি পুলিশ জানিয়েছে সোমবার। ৩৭৫এ (গণধর্ষণ) এবং ১০৯ ধারার মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, ফুলগ্রানে নিজেদের বাড়ি থেকে ১ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুধ কিনতে বেরিয়েছিল এক কিশোরী। এরপর আর ফেরেনি। তার পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করলে রাস্তায় খেলতে থাকা শিশুরা জানায়, প্রতিবেশী এক নারী মেয়েটিকে কালো একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কিশোরীরা মা পুলিশ ডাকেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা কিশোরীর মাকে পরদিন থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। কিন্তু ঘটনার পরদিন সকালেই এক লন্ড্রি দোকানি মোটরসাইকেলে করে মেয়েটিকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। ওই দোকানি কিশোরীর মাকে জানায়, এক ব্যক্তি অপর আরেক নারীর সঙ্গে এসে মেয়েটিকে তার দোকানের সামনে নামিয়ে দিয়ে গেছে।
মেয়েটিকে তার মাকে জানায়, প্রতিবেশী এক নারী তাকে তার সঙ্গে গাড়িতে করে বাজারে যেতে বলে। কিন্তু সেই নারী তাকে একটি বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যায় যেখানে আরেকজন নারী, দুটি মেয়ে ও তিনজন ছেলে ছিল। ওই দুই নারী মেয়েটি হুমকি-ধমকি দিয়ে ছেলেদের সঙ্গে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। তারা মেয়েটি ধর্ষণের পর রাত ১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান।
এজাহারে আরো বলা হয়, ওই ঘটনায় ২ মে থানায় গেলে ভুক্তভোগী পরিবারকে পরদিন আসতে বলে। ৩ মে মেয়েটির মা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
এক পুলিশ কর্মকর্তা ডনকে বলেন, ৩ মে অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা ৪ মে এফআইআর হিসেবে নথিবদ্ধ করে। মামলা দায়েরে বিলম্বের কারণে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র তাকি জাওয়াদ।