সকালের ট্রেন ছাড়েনি দুপুরেও, কমলাপুরে ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:২৪ পিএম, ৪ মে ২০২৪ শনিবার
গাজীপুরের জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা ও দুইদিন আগে সান্তাহার স্টেশনে রেলকর্মীদের মারধরের পর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।
এরমধ্যে শনিবার (৪ মে) সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ছিল।
রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে দৈনিক ৫৩টি ট্রেন ছেড়ে গেলেও মাত্র ৪টি ট্রেন সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে। বাকি অর্ধশত ট্রেনের অধিকাংশ ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিলম্বে যাচ্ছে।
রেলস্টেশনে সময়সূচিতে দেখা গেছে, রংপুর এক্সপ্রেস প্রায় সাত ঘণ্টা বিলম্বে রয়েছে। সকাল ৯টা ১০ মিনিটের এ ট্রেন এখনো ঢাকা থেকে ছাড়তে পারেনি।
কমলাপুর স্টেশন সূত্র বলছে, লাইন ক্লিয়ার না হওয়ার কারণে জয়দেবপুর হয়ে যে ট্রেনগুলো যাতায়াত করে সেগুলোর বিলম্ব হছে। গতকাল থেকেই এসব ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় সব ট্রেনই ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ছে। এখনো লাইন পুরোপুরি ঠিক হয়নি। সকাল থেকে এ রুটে ৮টি ট্রেন ছেড়ে গেছে আর সবগুলোই বিলম্বে চলছে। এদিকে ট্রেন বিলম্বে ছাড়ায় ছুটির দিনেও কমলাপুর স্টেশনে ছিল যাত্রীদের ভিড়। সাধারণত দিনে ৫৩টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছেড়ে যায়। তবে জয়দেবপুরে দুর্ঘটনার কারণে গতকাল থেকে সব ট্রেনই বিলম্বে ছাড়ছে। এসব ট্রেন ঢাকায় পৌঁছেছেও বিলম্বে।
এর আগে সকাল ৬টার রাজশাহী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৮টায়, ৬ টা ১৫ মিনিটের কক্সবাজারগামী পর্যটন এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৮টায়, ৬ টা ৪৫ মিনিটের চিলাহাটিগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ৯ টায়, ৭ টা ১৫ মিনিটের নীলফামারিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সাড়ে ৯ টায়, চট্টগ্রামগামী ৭ টা ৪৫ মিনিটের মহানগর প্রভাতী ১০ টার দিকে ছেড়ে যায়।
স্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, সন্তান ও স্বজন নিয়ে কেউ বসে আছেন, কেউবা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়েছেন বসার জায়গা না পেয়ে। স্টেশনের ভেতর অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ঢাকা স্টেশন ম্যানেজারের কক্ষে রুমে রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীরা টিকিট রিফান্ডের দাবি নিয়ে আসেন। পরে যাত্রীদের দাবি মেনে তাদের টিকেট রিফান্ড করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়।
এমএম//