ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা, ভেস্তে যায় মাইনাস-টু ফর্মুলা

প্রণব চক্রবর্তী

প্রকাশিত : ১১:১০ এএম, ৭ মে ২০২৪ মঙ্গলবার

দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে অনন্য এক দিন ৭ মে। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গ্রেপ্তার হুমকি উপেক্ষা করে ২০০৭ সালের এই দিনে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার এই সাহসী পদক্ষেপে ভেস্তে যায় মাইনাস-টু ফর্মুলা, সুরক্ষিত হয় গণতন্ত্র।

রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুক্ষিগত রেখে দেশে অপশাসন প্রতিষ্ঠা করে বিএনপি-জামায়াত জোট। এ অধ্যায়ের পর আসে ইয়াজউদ্দিনের পর্ব। তাকে সরিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিনের তত্বাবধায়ক সরকার। গণতন্ত্র উদ্ধারের উছিলায় যারা রাজনীতিকে শেকল পড়ায়।

শুরু হয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র। ২০০৭ সালের মার্চে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা যাতে দেশে ফিরতে না পারেন, সেজন্য আটঘাট বেধে নামে তত্বাবধায়ক সরকার। 

মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, “তত্বাবধায়ক সরকারের যে লক্ষ্যটা ছিল যে দুই নেত্রীকেই বিদায় করে দেওয়া। শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন কিন্তু তারা ধরে নিয়েছিলেন তিনি আর ফিরবেননা। যখন ফিরে আসলেন এবং ফিরে আসা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি বিমানে চলে আসা নয়। এর পেছনে যে সাংগঠনিক শক্তির প্রদর্শনটা দেখেছি সে কারণে তাদের কাছে শেখ হাসিনাকে কারাগারে নেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিলনা।”

দেশে ফিরতে দৃঢ়তা ছিল শেখ হাসিনার। দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য বিদেশে বসেই জনমত গঠন করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্য হয়ে ৭ মে বাংলার মানুষের কাছেই ফিরে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। 

অজয় দাশগুপ্ত বলেন, “বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং একটা জনমত এমনভাবে তৈরি হয়েছে এর একপর্যায়ে ঢাকার বিমানে উঠতে পারেন, ৭ মে ঢাকায় অবতরণ করেন।”

ওই বছরের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে সাজানো মামলায় গ্রেফতার করে অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। গণতন্ত্র ফেরানোর সংগ্রামে রাজপথে নামে বাংলার মানুষ। যার ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। 

সেই থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে ছুটে চলছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার হাত ধরেই অর্জিত হওয়ার পথে স্মার্ট বাংলাদেশ।

এএইচ