ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ভোলায় পিকনিকের নামে চর দখলের চেষ্টা, সংঘর্ষে আহত ৫০

ভোলা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১২:০৬ পিএম, ৭ মে ২০২৪ মঙ্গলবার

ভোলার দৌলতখানে পিকনিকের নামে চর দখল করতে গেলে কৃষকদের সাথে দখলধার নবু গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। 

সোমবার মধ্য মেঘনার দুর্গম চর নেয়ামতপুরে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত গুরুতর ১৯ জনকে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৩ জনকে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

পুলিশ ও আহতরা জানান, মেঘনার মধ্যবর্তী নেয়ামতপুরর চরের জমির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। বিরোধীয় জমি দখল করতে সোমাবার দুপুরে দৌলতখান থেকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবুর নেতৃত্বে তিন শতাধিক লোক ৯টি ট্রলারে করে ওই চরে যায়। চরের দক্ষিণ মাথার খালে ট্রলারগুলো ভিড়ানোর পর চরের বাসিন্দা ও কৃষকরা তাদের বাঁধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়। 

স্থানীয় চাষীরা জানান, হাইকোর্টের মালিকানা রায় নিয়ে ভোলার বশির হাওলাদার, ইউসুফ জিলাদার কৃষকদের  চাষাদের জন্য জমি বর্গা দেয়। কৃষকরা সেই জমিতে চাষাবাদ করলে সোমবার পিকনিকের নাম করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবু ৫-৬ শত লাঠিয়াল নিয়ে চর দখল ও কৃষকদের ফসল লুট করতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

ইউসুফ জিলাদার জানান, সোমবার দৌলতখান সদর থেকে ভবানীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবুর নেতৃত্বে ১০টি ট্রলারযোগে কয়েক শত লোক চর দখল করতে যায়। এসময় কৃষকদের সোয়াবিন তুলে নিয়ে চর দখল করতে গেলে সংঘর্ষ হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

অপরদিকে গোলাম নবী নবু জানান, তারা দৌলতখান পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে দৌলতখান উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুর আলম খানের প্রচারণা ও গণসংযোগ করতে ৪টি ট্রলার যোগে ১২০-১৩০ জন লোক ওই চরে যান। পিকনিকে মতো তাদের সাথে রান্নার খাবার ছিল। কিন্তু ভবানীপুর ৩নং সিট গুচ্ছ গ্ৰামের কাছে গেলে প্রতিপক্ষ বশির হাওলাদার, ইউসুফ জিলাদার গ্ৰুপের লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তাদের লোকজন পিটিয়ে জখম করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, তারা ট্রলার থেকে নামার পরপরই চরের বাসিন্দারা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়। এসময় জীবন বাঁচাতে অনেকে নদীতে ঝাপ দেয়। তোপের মুখে ট্রলারে করে অনেকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার।

এএইচ