ববিতে আপত্তিকর মেসেজ কেন্দ্র করে মারামারি, সাংবাদিক লাঞ্ছিত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:৩৭ পিএম, ১০ মে ২০২৪ শুক্রবার
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) আপত্তিকর মেসেজ দেয়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার ভিডিও করতে গেলে এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯মে) বেলা আড়াই টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে মারামারির ভিডিও ধারণের সময় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি মোহাম্মদ এনামুল হোসেন মোবাইলে মারামারির ভিডিও ধারণ করলে ক্ষিপ্ত হন ছাত্রলীগ কর্মী মাহমুদুল হাসান তমাল এবং ভিডিও ডিলেটের নির্দেশ দেন। এরপরে তমালের দু'জন অনুসারী ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন, ছিনিয়ে নিতে না পারলে জোরপূর্বক ফোন থেকে ভিডিও ডিলেট করতে বাধ্য করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক জুনিয়র মেয়েকে মেসেঞ্জারে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সিনিয়র এক ছেলে আপত্তিকর মেসেজ দেন। উক্ত মেসেজ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের ছাতিম চত্বরে মারামারির ঘটনা ঘটে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্য। সেই মারামারির ভিডিও ধারণ করায় ক্ষিপ্ত হন ছাত্রলীগ কর্মী মাহমুদুল হাসান তমাল এবং তারই নির্দেশে জোরপূর্বক ভিডিও ডিলেট করান তার দুই অনুসারী।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোহাম্মদ এনামুল হোসেন বলেন, আমি দুপুরের খাবার খেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের বিইউ ক্যাফের দিকে যাই ৷ এ সময় মারামারির ঘটনা দেখে ভিডিও ধারণ করতে যাই। পাশে মোটরসাইকেলে বসেছিলেন তমাল। সাংবাদিক পরিচয় দিলে উত্তেজিত হয়ে তমাল বলেন, ভিডিও ডিলেট কর। পরে জোরজবরদস্তি করে মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও ডিলেট করতে বাধ্য করে তার অনুসারী সালেমীর ও জুবায়ের।
সালেমীর সিয়াম ও জুবায়ের আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান তমাল বলেন, ওই ছেলে ভিডিও করছিলো। ভিডিও ডিলেট করতে বলি কিন্তু সে সাংবাদিক কিনা তা আমি জানি না। ঘটনাটি যেন সামনে আর না বাড়ে তাই আমি ভিডিও ডিলেট করাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইউম বলেন, এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি৷ ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এএইচ