বাজারে পণ্যের দাম শুনে ঘাম ঝরছে ক্রেতার
সাইদুল ইসলাম
প্রকাশিত : ০৪:০২ পিএম, ১০ মে ২০২৪ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:০৪ পিএম, ১০ মে ২০২৪ শুক্রবার
ছুটির দিনের বাজারে পেঁয়াজের পাশাপাশি বেড়েছে আদা, রসুনের ঝাঁজ। সোনালি মুরগি চারশ’ ছাড়িয়েছে। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে দুশ’ বিশে। হালিতে ৫ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। মাছের বাজারও ঊর্ধ্বমুখি।
ছুটির দিনের বাজার। পণ্যের দাম শুনে ঘাম ঝরছে ক্রেতার। একটি পণ্যের দাম কমলে বাড়ছে অন্যটির। মুরগির বাজার ঈদের পর থেকেই অস্থিতিশীল। ব্রয়লার মুরগি ২২০ আর সোনালি মুরগির দাম ৪শ’ টাকা ছাড়িয়েছে। ডিমও হালিতে ৫ টাকা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, কক মুরগী ৪০০-৪২০ টাকা হয়ে গেছে, যে মুরগী রমজান মাসে ছিল ২৮০-৩০০ টাকা। বয়লার এখন ২৩০ টাকা।
সংকট না থাকার পরও অকারণেই বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন বা আদার দাম। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে বেশ কিছু মসলার দামও।
দোকানদাররা জানান, ঈদের পরে পেঁয়াজের কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে, আদায় ২০-৩০ ও রসুনে বেড়েছে ২০-২৫ টাকা।
আগে থেকেই মাছের বাজার অস্থির। দাম বাড়াতে অজুহাতের শেষ নেই বিক্রেতাদের। এ কেজি আকারের ইলিশের দাম হাঁকছে ২ হাজার টাকার ওপরে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এবছর ইলিশ মাছ কম থাকায় অন্যান্য মাছের দাম একটু বেশি।
সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক। তারপরও ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া মুশকিল।
ক্রেতারা জানান, বাজারে ৫০-৬০ টাকার নীচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।
পণ্যের দামে বেড়েছে ক্রেতার অস্বস্তি। বাধ্য হয়েই কাটছাট করতে হচ্ছে বাজেট।
ভোক্তারা জানান, আমাদের চিন্তাভাবনা থাকে আজকে এতোটুকু জিনিসপত্র নিয়ে ফিরবো, আসলে সেটা আমরা নিতে পারছিনা। তখন দেখা যায়, কিছু বাদ দিয়েই বাসায় ফিরতে হচ্ছে। যেভাবে জিনিসের দাম বাড়তেছে সেভাবে আমাদের আয় বাড়ছেনা। নির্দিষ্ট বেতনে চলতে কষ্ট হচ্ছে।
পণ্যমূল্যের লাগাম টানতে কঠোর মনিটরিংয়ের দাবিও ভোক্তাদের।
এএইচ