ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মিজু গ্যাংয়ের ১১ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:০৪ পিএম, ১৫ মে ২০২৪ বুধবার
রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ‘মিজু গ্যাং’র মূলহোতাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (১৫ মে) সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় র্যাব। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবোন গ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নগরের মতিহার থানার খোজাপুর এলাকার আজিমুদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান মিজু (৩০), একই এলাকার মৃত মুকুলের ছেলে মো. বকুল (৩৮), ডাসমারী পূর্বপাড়ার বাবুল হোসেনের ছেলে মো. ঈমান (২৪), ধরমপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. শাকিব (২৫), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রবিন (২০), আসলাম আলীর ছেলে মো. রাব্বি (২৪), শমসের আলীর ছেলে আমান (২২), নাসির উদ্দিনের ছেলে বিজয় (১৭), আব্দুল খালেকের ছেলে মো. অনিক (২১), চর শ্যামপুরের মোতালেবের ছেলে ইয়ামিন আলী (২৮) ও চারঘাট থানার শিমুলিয়া এলাকার শাহজাহানের ছেলে বিপ্লব আলী (২২)।
তাদের কাছ থেকে ধারালো হাসুয়া ১৮টি, ধারালো তলোয়ার ৭টি, চাকু ২টি, কাটার হাতল ৩টি, চাইনিজ কুড়াল ১টি, সিমেন্টের বøক- ৫৩টি, খেলনা পিস্তল ১টি, মোটরসাইকেল ৩টি ও ১২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৫’র অধিনায়ক মুনীম ফেরদৌস জানান, আসামিরা সবাই মিজু গ্যাংয়ের সদস্য। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মহানগর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, জমি দখল করতেন। এলাকায় কোনো ব্যক্তি জমি ক্রয় ও বাড়ি নির্মাণসহ যে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুললে তাদেরকে চাঁদা না দিয়ে কোনো কাজ করতে পারত না। এ ছাড়া মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে দলবদ্ধভাবে ছিনতাই ও ডাকাতি করত তারা।
র্যাব-৫’র অধিনায়ক আরও বলেন, মিজানুর রহমান এই ‘মিজু গ্যাং’র প্রধান। তারা টেলিগ্রাম ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করত। মঙ্গলবার রাতে মতিহার থানার ধরমপুর পূর্বপাড়ায় রমজান (৩০)র পরিত্যাক্ত ভবনে ব্যক্তিগত ক্লাব ঘরে উপস্থিত হয়ে তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযান চালিয়ে ও পরে তাদের দেওয়া তথ্যে বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
দীর্ঘদিন যাবত সংঘবদ্ধভাবে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, ছিনতাই, ডাকাতি, টেন্ডারবাজি, সরকারি কাজে বাধা, সংঘবদ্ধভাবে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এএইচ