যুক্তরাজ্যের ওয়ার্দিং কাউন্সিলের মেয়র হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইবশা চৌধুরী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৫১ পিএম, ২২ মে ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ০৭:৫২ পিএম, ২২ মে ২০২৪ বুধবার
![](https://www.ekushey-tv.com/media/imgAll/2020June/ibsha-inner-2405221351.jpg)
যুক্তরাজ্যের ওয়ার্দিং কাউন্সিলের লর্ড মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের সিলেটের যুবক ইবশা চৌধুরী। মঙ্গলবার (২১ মে) তিনি এ কাউন্সিলের প্রথম মুসলিম পুরুষ মেয়র নির্বাচিত হন। মাত্র ৪১ বছর বয়সে কাউন্সিলররা তাকে মেয়র পদে নির্বাচিত করেন। যুক্তরাজ্যে তিনিই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সর্বকনিষ্ঠ মেয়র। এর আগে ইবসা এ কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। আগামী এক বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
তাঁর জন্ম বাংলাদেশের সিলেটে। সেখানেই স্কুল-কলেজে পড়াশোনার পর একুশ বছর বয়সে তিনি ইংল্যান্ডের ওয়ার্দিংয়ে আসেন। সেখানে তিনি ২২ বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি চার সন্তানের জনক।
নবনির্বাচিত ইবশা চৌধুরীকে মেয়রাল মালা পরিয়ে দিচ্ছেন কাউন্সিলের কর্মকর্তারা
লেবার পার্টি থেকে ইবশা চৌধুরীই প্রথম মুসলিম পুরুষ মেয়র। এর আগে ২০২২ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফেরদৌসী বেগম মেয়র ছিলেন।
২০১৯ সালে লেবার পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে কাউন্সিলর, কাউন্সিলর থেকে ডেপুটি মেয়র ও শেষে মেয়র পদে নির্বাচিত হলেন ইবশা।
২০২১ সালে ইবশা ক্যাসেল ওয়ার্ড থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর আগে লেবার পার্টি কখনোই এই ওয়ার্ড থেকে জিততে পারেনি। একই সঙ্গে তিনি ওয়ার্দিং টাউন ফুটবল ক্লাবের ইকুয়ালিটি অফিসারের দায়িত্বও পালন করছেন।
করোনা মহামারি চলাকালে ইবশা সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এ সময় ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) খাবারের সমন্বয় ও সরবরাহে সাহায্য করে বেশ আলোচিত হন তিনি।
কাউন্সিল ভবনে সস্ত্রীক ইবশা চৌধুরী
গোলাম রাব্বানী আমোদ চৌধুরী ও জেবু সুলতানা চৌধুরীর চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে সবার বড় ইবশা চৌধুরী। পারিবারিকভাবে রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া ইবশা চৌধুরী যুক্তরাজ্যে সিভিল এনফোর্সমেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি সাসেক্স পুলিশের ইনডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার গ্রুপের অ্যাডভাইজার পদেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
মেয়র ইবশা চৌধুরী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি মোহ কাজ করে। সেই তাগিদ থেকে যুক্তরাজ্যের মূল ধারার রাজনীতিতে যোগ দিই। সব শ্রেণি–পেশার মানুষের জন্য সমানাধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছি। ভবিষ্যতে একজন বাংলাদেশি হিসেবে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চাই।’
কেআই//