ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২৪ ১৪৩১

এবারও ঢাল হয়ে খুলনা অঞ্চলকে রক্ষা করেছে সুন্দরবন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৪ পিএম, ২৭ মে ২০২৪ সোমবার

সাতক্ষীরা জেলার উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এদিকে, এবারও ঢাল হয়ে খুলনা অঞ্চলকে আরও ভয়ানক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেছে সুন্দরবন। বাতাসের গতিবেগ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে এ বন।

রোববার রাতে সাতক্ষীরা উপকূলে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। অনেক গাছপালা উপড়ে গেছে। জোয়ারে মাছের ঘের ভেসে গেছে। তবে সুন্দরবন এবারও রক্ষা করেছে। বাতাসের গতিবেগ অনেক কমিয়ে দিয়েছে।

আশাশুনির প্রতাপনগর এলাকার সাইদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ কমেছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্বল হয়েছে কিছুটা।

মুনজিতপুর এলাকার আমিনুর রহমান আলম বলেন, রেমালের কবল থেকে সাতক্ষীরার উপকূল এখন প্রায় বিপদমুক্ত বলা যায়। শুধু বেড়িবাঁধের দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন নদীর পানি ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে।

কালিগঞ্জের ওলিউর রহমান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে আবারও সুন্দরবন বুক দিয়ে রক্ষা করলো আমাদের সাতক্ষীরা উপকূলকে।

শ্যামনগরের সুলতান শাহজাহান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল সাতক্ষীরা উপকূলে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। অনেক গাছগাছালি উপড়ে চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এখনো গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া বয়ে চলছে। নদ-নদীগুলো এখনও উত্তাল। জোয়ারের পানি এখনও কমেনি।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টিতে বাঁধের মাটি নরম হয়ে গেছে। ভাটিতে পানি কমার কথা থাকলেও পানি কমছে না। এতে অনেক এলাকায বাঁধে ফাটল দেখা দিতে পারে। ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা জানা যায়নি।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সাতক্ষীরা অতিক্রম করেছে। রাত ১টায় এখানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৭২ কিলোমিটার। সন্ধ্যা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত এ জেলায় ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান, গভীর রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ-শ্যামনগর সড়কের উপর ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে অনেক গাছ-গাছালি ভেঙে পড়ে। ফলে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ওই সময়ই শ্যামনগর থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ দা-কুড়াল ও করাত দিয়ে গাছ কেটে রাস্তা যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত রাখা হয়।

এএইচ