ঢাকা, রবিবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

এমপি আনার হত্যা তদন্তে নেপাল গেল ডিবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৩ এএম, ১ জুন ২০২৪ শনিবার | আপডেট: ১১:৩২ এএম, ১ জুন ২০২৪ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনা তদন্তে এবার নেপাল গেল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।

শনিবার (১ জুন) সকালে ১০টার দিকে একটি ফ্লাইটে নেপালের উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় তারা।

ডিবি পুলিশ ও এনসিবির একজনসহ মোট চারজনের একটি দল নেপাল গেল।

ঢাকা ছাড়ার আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২ গেটে গণমাধ্যমকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুনুর রশিদ বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী শাহীনের সহকারী সিয়াম নেপালে আটক হয়েছেন বলে শুনেছি৷ এছাড়া হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর অন্যান্য আসামিরাও নেপালে যাওয়া সম্ভাবনা আছে। সবদিক বিবেচনা করে আমরা সেখানে যাচ্ছি।

হারুন বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অনেকেই নেপালের কাঠমুন্ডুতে অবস্থান করছেন, সেটি নিয়েই তদন্ত করতে যাচ্ছে তার দল। ইন্টারপোলকে ইতিমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে, কাঠমুন্ডু পুলিশের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান চলছে।

তিনি আরও বলেন, ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গে‌ছে। সেসব তথ্য ক্রস‌চেক করা হবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (৩০ মে) নেপাল পুলিশ সিয়ামকে আটক করেছে। আটক সিয়াম এমপি আজিমের লাশ গুমে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। তিনি আক্তারুজ্জামান শাহীনের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন বলে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে।

এর আগে এমপি আনার খুনের তদন্ত কাজ শেষ করে গত ৩০ মে দুপুরে কলকাতা থেকে দেশে ফেরেন ডিবির প্রতিনিধি দল। কলকাতায় এমপি আনার খুন হলেও ঢাকার পুলিশের তৎপরতা এবং তদন্তে দ্রুত সাফল্য পাওয়ায় ঢাকার গোয়েন্দা দল নিয়ে এরই মধ্যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ইতিবাচক আলোচনা চলছে।

গত ১৩ মে আনারকে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের একটি ফ্লাটে খুন করা হয়। তার দেহ টুকরা টুকরা করে গুম করা হয় বলে জানা গেছে।

এতে কলকাতা পুলিশ দেহাংশের হদিস করতে পারছিল না। অবশ্য কলকাতায় হত্যা মিশন বাস্তবায়ন করে প্রধান কিলার আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভুঁইয়াসহ কয়েকজন দেশে ফিরে আসে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে ডিবি। 

এরপরই হত্যারহস্য উদঘাটন হয়। গুম করা লাশের অংশ লুকানোরও তথ্য পান ডিবি কর্মকর্তারা। এরপরই কলকাতায় ছুটে যান হারুনসহ তিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এএইচ