ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১ ১৪৩১

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় রিমাল-দুর্গতরা

ভোলা ও বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:০৯ পিএম, ১ জুন ২০২৪ শনিবার | আপডেট: ১২:১১ পিএম, ১ জুন ২০২৪ শনিবার

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় রিমাল-দুর্গতরা। ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ ও মেরামতে ব্যস্ত তারা। তবে সরকারি সহায়তা পেলেও আবাসস্থল পুননির্মাণ করতে না পারায় এখনও খোলা আকাশের নিচে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার। 

বিধ্বস্ত বাড়ির সামনে বৃদ্ধার কোলে শিশু। যেন ধ্বংসের শেষপ্রান্ত থেকে নির্মাণযজ্ঞের শুরু। ভাঙা হাঁড়ি থেকে খুঁজে পাওয়া ভাতের ভেজাচাল শুকোতে দিয়েছেন ভাঙাঘরের চালায়। ভেঙেছে রান্নার চুলোটাও।

এ চিত্র দ্বীপজেলা ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা, বড়মানিকা, গঙ্গাপুর, মনপুরা, ঢালচর, চরকুকরি মুকরিসহ সব গ্রামের। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতীরের লাখো বাসিন্দার প্রায় সবই ভেসে গেছে রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট অতিজোয়ারের পানিতে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণসামগ্রী দেয়ার পাশাপাশি চলছে পুনর্বাসনের কাজও।

ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, “তাদের বিভিন্ন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করা হচ্ছে। তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, “সেখানকার মানুষ পানিবন্দি আছে এবং তাদের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সে কারণে সেখানে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেভাবে চাওয়া হয়েছে, সেগুলো যদি আসে তাৎক্ষণিকভাবে দুর্গত মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।” 

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার জিনতলা, হরিণঘাটা ও পদ্মা; তালতলীর শুভসন্ধ্যা, তেতুলবাড়িয়া ও জয়ালভাঙ্গা এবং সদর উপজেলার বালিয়াতলী, তেতুলবাড়িয়া ও খাজুরতলাসহ সব নদীপাড়ের মানুষেরা এখনও চরম দুর্ভোগে। বেরিবাঁধ ভেঙে পানির তোড়ে ভেসে গেছে তাদের সহায়-সম্পদ, বসতঘর।

ঘর-বাড়িকে বাসযোগ্য করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারাও। তবে, তাদের দাবি, টেকসই বেড়িবাঁধ। 

চাল, ডাল, তেলসহ খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন এ উপকূলের দুর্গতরাও।

বরগুনা জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম বলেন, “জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এ উপকূল এলাকাগুলোতে। ২৫ লাখ টাকা নগদ সহায়তা এবং ১০ লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও ৮ লাখ টাকার গোখাদ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরও কিছু বরাদ্দ পাওয়া গেছে, সেটা উপজেলাগুলোতে ভাগ করে দেয়া হবে।” 

আরও সহায়তা দিতে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রণালয়েও। 

এএইচ