কোরবানির বাজারে আলোচনায় সুলতান সুলেমান
রাজিউর রহমান রুমী, পাবনা থেকে
প্রকাশিত : ১২:১৪ পিএম, ৪ জুন ২০২৪ মঙ্গলবার
কোরবানির ঈদকে ঘিরে অনেক পেশাদার ও সৌখিন খামারি লালন-পালন করে থাকেন বিশাল আকৃতির পশু। নামও দিয়ে থাকেন বাহারী ধরনের। সেই রকমই এক গরু সাড়ে তিন বছর ধরে লালন পালন করেছেন পাবনার ফরিদপুর উপজেলার চিথুলী গ্রামের সজিব। তার পালিত বিশাল আকৃতির গরুটির নাম দিয়েছেন সুলতান সুলেমান।
ঈদুল আজহার বাকি আরও বেশ কিছু দিন। এরই মধ্যে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় আলোচনায় এসেছে সুলতান সুলেমান। লম্বায় নয় ফুট ও উচ্চতায় ছয় ফুট হলস্টেইন-ফ্রিজিয়ান-শাহিওয়াল মিশ্র শংকর জাতের গরুটি নজর কেড়েছে স্থানীয়দের।
সাড়ে তিন বছর আগে সখের বসে গরুটি কেনেন ফরিদপুর উপজেলার চিথুলী গ্রামের সজিব। এই গরুর বর্তমান ওজন ৩২ মণ। নিজের বাড়িতে সম্পূর্ণ দেশি খাবার খাওয়ানো হয় সুলতান সুলেমানকে। খাবারের মধ্যে রয়েছে কাঁচা ঘাস, খৈাল, ভুষি, খড়।
স্থানীয়দের দাবি, এটাই এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরু। এরকম বড় গরু তারা এর আগে বাস্তবে দেখেননি। তাইতো বিশাল আকৃতির গরুটিকে দেখতে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছেন উৎসক মানুষ।
১০ লাখ টাকায় গরুটি বিক্রির আশা করছেন পালনকারী সজিব।
সজিব জানান, পাবনার এমন কোনো বাড়ি পাবেন না যেখানে গরু নাই। করোনার সময় ঢাকা থেকে ফিরে খামারের সঙ্গে যুক্ত হই। ডেইরি খামারের পাশাপাশি ষাড় গরু লালন-পালন শুরু করি। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে দেড় লাখ টাকা দিয়ে এই গরুটাকে নিয়ে আসি। শখ করে গরুটির নাম রাখি সুলতান সুলেমান। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা মেপে জানিয়েছেন গরুটির ওজন ১৩শ’ ৮০ কেজি। উচ্চতায় ৬ ফুট, লম্বায় সাড়ে ৮ ফুট থেকে ৯ ফুট।
সজিব আরও জানান, আমি যেহেতু স্টুডেন্ট মানুষ, বর্তমান বাজেটটা বুঝি তাই নিরীক্ষা করে গরুটার একটা দাম নির্ধারণ করেছি। মাত্র ১০ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। কেউ যদি নেয় তাহলে তার কোনো লোকসান হবেনা।
প্রাণী সম্পদ বিভাগ বড় আকারের গরু পালনকারীদের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করছে বলে জানান ফরিদপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডাঃ গোপেশ চন্দ্র সরকার।
এএইচ