কাস্টমস আইনের ৮২ ধারা বাতিলের দাবিতে বেনাপোলে কর্মসূচি পালিত
বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০২:৪৬ পিএম, ৫ জুন ২০২৪ বুধবার
নতুন কাস্টমস আইন-২০২৩ এর ৮২ ধারা বাতিলের দাবিতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়াডিং এজেন্ট এসোসিয়েশন সারাদেশের সকল শুল্ক হাউজ ও স্টেশনে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেনাপোল কাস্টম হাউজের সামনে আজ (বুধবার) দুপুর ১২টায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বেনাপোল কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন।
বেনাপোল কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব শামসুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জনাব এমদাদুল হক লতা, এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, সহসভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল, শাহাবুদ্দিন, সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমানসহ উভয় এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সিএন্ডএফ এজেন্ট মালিক-কর্মচারিরা।
বেনাপোল কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, নতুন কাস্টমস আইন-২০২৩ এর ৮২ ধারায় মিথ্যা ঘোষণা কিংবা ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সিএন্ডএফ এজেন্টকেও দায়ী করা হয়েছে। আমরা সিএন্ডএফ এজেন্টরা আমদানিকারকের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করি। পণ্যের শুল্কায়নের কাস্টমসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে থাকি। এখন কোনো আমদানিকারক মিথ্যা ঘোষণা কিংবা অতিরিক্ত পণ্য আনলে সেটি তো আমাদের জানার কথা নয়। কারণ মালের মধ্যে কি আছে কাস্টমসও যে রকম জানে না, ঠিক একইভাবে আমরাও জানি না। এখানে সিএন্ডএফ এজেন্টসহ দায়ী থাকবে বলে নতুন কাস্টমস আইনে যে ধারা যুক্ত করা হয়েছে সেটি অযৌক্তিক।
এ ধারাটি বাতিলের জন্য বেনাপোল কাস্টমসে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছি। দাবি না মানলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এএইচ