ঢাকা, শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪,   আষাঢ় ২০ ১৪৩১

আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু ভারতের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৫ এএম, ৬ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার

পেসারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে সহজ জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু করলো ভারত।  ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারত ৮ উইকেটে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ডকে। 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়ে আয়ারল্যান্ড। ৯৬ রানে গুটিয়ে যাওয়া আয়ারল্যান্ডের ৮ উইকেট শিকার করেন ভারতের পেসাররা। বিশ্বকাপে কোন ম্যাচে ভারতীয় পেসারদের যৌথভাবে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকার। ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯ উইকেট শিকার করেছিল ভারতীয় পেসাররা।

তৃতীয় ওভারে আইরিশদের দুই ওপেনার এন্ডি বলবির্নিকে ৫ ও অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে ২ রানে শিকার করেন ভারতের পেসার অর্শদীপ সিং।

৯ রানে ২ উইকেট পতনের পর আয়ারল্যান্ডের মিডল অর্ডারে ধস নামান ভারতের অন্য তিন পেসার জসপ্রিত বুমরাহ-হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ সিরাজ। এতে ৫০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু শেষ দুই উইকেটে ৪৬ রান পায় আইরিশরা।

নবম উইকেটে জশ লিটলের সাথে ১৮ বলে ২৭ এবং শেষ উইকেটে বেন হোয়াইটকে নিয়ে ১১ বলে ১৯ রান যোগ করেন গ্যারেথ ডেলানি। এতে ১৬ ওভারে গুটিয়ে যাবার আগে ৯৬ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ পায় আয়ারল্যান্ড। ২টি করে চার-ছক্কায় ১৪ বলে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন ডেলানি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন লিটল। 

ভারতের পান্ডিয়া ২৭ রানে ৩টি, আর্শদীপ ৩৫ ও বুমরাহ ৬ রানে ২ উইকেট নেন।

৯৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে তৃতীয় ওভারে ১ রানে সাজঘরে ফিরেন ভারতের ওপেনার বিরাট কোহলি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ভারতের জয়ের পথ সহজ করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ঋসভ পান্থ। আয়ারল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলে ৩৬ বলে টি-টোয়েন্টিতে ৩৫তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রোহিত।

হাফ-সেঞ্চুরির পর আহত অবসর নেন রোহিত। তার আগে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৫২ রান করেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। পান্থের সাথে ৪৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৪ রান যোগ করেন রোহিত।

রোহিত ফেরার পর ক্রিজে এসে ২ রানে আউট হন সূর্যকুমার যাদব। তৃতীয় উইকেটে শিবম দুবেকে নিয়ে ৪৬ বল বাকী রেখে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন পান্থ। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৬ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন পান্থ। 

ম্যাচ সেরা হন বুমরাহ।

এএইচ