ঢাকা, শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২০ ১৪৩১

রাজধানীর খালগুলোকে নিয়ে নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা

মাহমুদ হাসান

প্রকাশিত : ১২:২২ পিএম, ৮ জুন ২০২৪ শনিবার | আপডেট: ১২:২৬ পিএম, ৮ জুন ২০২৪ শনিবার

রাজধানীর শ্যামপুর, জিরানী, মান্ডা ও কালুনগর খালপাড়ে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজায়নের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএসসিসি। এছাড়া এসব খালের দু’পাশে থাকছে ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন, ফুডপার্ক, শিশুদের খেলার জায়গা। আর এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৮৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। 

এই নকশা-চিত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শ্যামপুর, জিরানী, মান্ডা ও কালুনগর খালের উন্নয়ন প্রকল্পের। প্রথম ধাপে মান্ডা খাল ৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার, শ্যামপুর ৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার, জিরানী ৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার এবং কালুনগর ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার খালের পাড় ঘেঁষে থাকবে পরিবেশবান্ধব নান্দনিক সব আয়োজন।

২০২০ সালে ওয়াসার কাছ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরশেন বুঝে পায় ১১টি খাল। দায়িত্ব পেয়ে খাল উদ্ধারে চলে সিটি করপোরেশনের অভিযান। বছরব্যাপি চলমান রাখা হয় খাল পরিষ্কারের কর্মযজ্ঞ। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “শ্যামপুর, জিরানী, মান্ডা ও কালুনগর খালের পুরোটাই জরিপ শেষ হয়েছে। সীমানা আমরা চিহ্নিত করে ফেলেছি। মান্ডা ও জিরানী খালের অর্ধেকের বেশি কাজ শেষ। একইভাবে শ্যামপুর খালেরও অর্ধেকের সীমানা নির্ধারণ কাজ হয়েছে।”

আদি বুড়িগঙ্গার পাড় ঘেঁষে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে এই খালগুলোকে উন্নীত করা হবে সবুজায়নের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে। 

মেয়র তাপস বলেন, “আমাদের হাঁটার পথ, নান্দনিক পরিবেশ, সাইকেল চালানোর পথ, খালের খনন এমন ভাবে করা হবে যাতে পানি প্রবাহ কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়া নির্বিঘ্নে যেন নদী পর্যন্ত যেতে পারে। আমরা আশাবাদী, এই প্রকল্প মেয়াদের অনেক আগেই এই কাজ আমরা শেষ করতে পারবো। আগামী বছরের মধ্যেই এই চারটি খালই দৃশ্যমান পর্যায়ে চলে যাবে। এখানে ব্যাপক সবুজায়ন হবে।”

খালগুলো উদ্ধার করে নদীর সাথে সংযোগ স্থাপন হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও ঘটবে উন্নয়ন। এর ফলে যানজট কমে আসবে বলে আশা সিটি করপোরেশনের।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, “এই খালগুলোর দু’পাশ দিয়েই হাঁটার পথ, বাইসাইকেল চালানোর পথ থাকবে। ঢাকাবাসী স্বাচ্ছন্দে-আরামে হাঁটতে পারবে। ছোট ছোট গন্তব্যে এই খাঁলের পাড় দিয়ে অনায়াসেই যেতে পারবে। তাতে যানবাহনের উপর চাপ অনেক কমে যাবে।”

চলতি বছর এই চারটি খালের উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। আর ২০২৫ সালের মাঝামাঝিতে সাধারণ মানুষের কাছে দৃশ্যমান হবে উন্নয়ন। দ্বিতীয় ধাপে বাকি ৭ খালেরও উন্নয়ন কাজ শুরু কথা ভাবছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। 

এএইচ