ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সুপার এইটের শঙ্কায় ইংল্যান্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৭ এএম, ৯ জুন ২০২৪ রবিবার | আপডেট: ১০:২০ এএম, ৯ জুন ২০২৪ রবিবার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে ওঠা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে ইংল্যান্ড শিবিরে। প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট ভাগ করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারালো অস্ট্রেলিয়া।

বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে ২০১ রানের পাহাড় গড়ে অজিরা। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬৫ রানে থেমেছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৩৬ রানে। 

‘বি’ গ্রুপে চার ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট এখন ১। প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে বাতিল হওয়ায় স্কটল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগ করেছে তারা। এদিকে স্কটল্যান্ড নামিবিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান তালিকার ২ নম্বরে। হাতে বাকি এখনও ২ ম্যাচ। যদি কোনো ভাবে সেই দুই ম্যাচের একটিতেও জয় পায় তারা। তাতে তাদের পয়েন্ট হবে ৫। অন্যদিকে পরের দুই ম্যাচে জয় পেলে ইংল্যান্ডের পয়েন্টও হবে ৫। সেক্ষেত্রে দেখা হবে রান রেট। যদিও এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের তুলনায় যেখানে বেশ এগিয়েই রয়েছে স্কটিশরা। 

ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে ঝড় তোলে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্র্যাভিস হেড। মাত্র ৫ ওভারে ৭০ রান তুলে এই জুটি ভেঙে যায় মঈন আলীর কাছে। ১৬ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে ৩৯ রান করে বোল্ড হন ওয়ার্নার। পরের ওভারে হেডকে বোল্ড করে আরেকটি ধাক্কা দেন জোফরা আর্চার। ১৮ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৩৪ রান করেন এই ওপেনার।

জোড়া আঘাতে ভেঙে পড়েনি অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দাঁড়িয়ে যান। তাদের জুটিতে দশম ওভারে দলীয় স্কোর একশ ছোঁয়। আদিল রশিদকে ছক্কা মেরে গ্যালারি স্ট্যান্ডের সোলার প্যানেল ভেঙে ফেলেন মার্শ। এই শক্ত জুটি ভেঙে দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তৃতীয় উইকেটে ৬৫ রান যোগ করে বিদায় নেন মার্শ। ২৫ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ৩৫ রান করেন তিনি। পরের ওভারে ম্যাক্সওয়েল প্যাভিলিয়নে ফেরেন রশিদের বলে। ২৫ বলে তার ব্যাটে আসে ২৮ রান।

এরপর ক্রিস জর্ডান তোপ দাগালেও মার্কাস স্টয়নিসের ক্যামিওতে দুইশ ছোঁয় অস্ট্রেলিয়া। ১৭ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ৩০ রান করেন এই ব্যাটার। টিম ডেভিড ১১ ও ম্যাথু ওয়েড ১৭ রান করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ৭ উইকেটে ২০১ রান করে অজিরা।

ইংল্যান্ডের পক্ষে দুটি উইকেট নেন জর্ডান।

লক্ষ্যে নেমে ভালোই শুরু করে ইংল্যান্ড। ফিল সল্ট ও জস বাটলার আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। পাওয়ার প্লেতে ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৪ রান। তাতে লড়াইয়ের আভাস দেয় তারা। অ্যাডাম জাম্পা বল হাতে নিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন। অজি লেগ স্পিনারের বলে সল্ট ও বাটলার প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৭৩ রানের জুটি ভেঙে যায় অষ্টম ওভারের প্রথম বলে। ২৩ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৩৭ রানে জাম্পার শিকার সল্ট। 

এই স্পিনার তার পরের ওভারে বাটলারকে প্যাট কামিন্সের ক্যাচ বানান। ২৮ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪২ রান করেন অধিনায়ক।

তারপর ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা তাল মেলাতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। মিচেল স্টার্ক খরুচে বোলিং করলেও জশ হ্যাজেলউড, কামিন্স ও স্টয়নিস আঁটসাঁট বোলিং করেন। 

সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন কামিন্স ও জাম্পা। তবে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেওয়ায় ম্যাচসেরা হন জাম্পা, ৪ ওভারে ২৮ রান দেন তিনি।

১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারালো অস্ট্রেলিয়া। শেষবার ২০০৭ সালে কেপটাউনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারায় তারা।

এএইচ