‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতির সুফল পাচ্ছে দেশের অর্থনীতি
মেহেদী হাসান
প্রকাশিত : ১২:৩৫ পিএম, ৯ জুন ২০২৪ রবিবার
গতি ফিরেছে রেমিট্যান্স প্রবাহে। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণের ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালুর সুফল পাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। চাপ কমছে রিজার্ভে। গেল মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিনিময় হারের বিদ্যমান নীতি ধরে রাখতে হবে। পাশাপাশি হুন্ডিরোধে সংশ্লিষ্টদের আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
গেল মে মাসে দেশে রেমিটেন্স এসেছে ২২৫ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। গত বছর মে মাসেয় রেমিটেন্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। ডলার সংকটের কারণে যখন রিজার্ভ চাপে আছে, তখন রেমিটেন্স প্রবাহের এমন গতিশীলতাকে স্বস্তিকর বলা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করায় ডলারের মূল্যমান বেড়েছে। প্রতি ডলারের দাম ১১০ টাকার থেকে উন্নীত হয়েছে ১১৭ টাকায়। এতে ব্যাংকিং চ্যানেল এবং হুন্ডির মধ্যকার ব্যবধানও কমেছে। ফলে বৈধপথে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, “ক্রলিং পেগ চালুর কারণে এখন ডলারের বিনিময় হার ১১৭-১২০ টাকা। এটি ভালো দিক। এই সুযোগটা রেমিটাররা ব্যবহার করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের একটি এক্সপেরিয়েন্স আছে কোনো উৎসব সামনে রেখে রেমিটেন্সযোদ্ধারা ফ্লোটা বাড়িয়ে দেয়।”
বিদ্যমান নীতি ধরে রেখে হুন্ডিরোধে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
ড. আইনুল ইসলাম বলেন, “এটাকে ধরে রাখতে হলে ডলারের বিনিময় হারটা বাজারের উপর ছেড়ে দিতে হবে। তাহলেই প্রোপার চ্যানেলে ডলার আসবে এবং ফ্লোটা বাড়বে। আমাদের রিজার্ভের এটা হবে পজিটিভ দিক।”
এর আগে একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে।
এএইচ