ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিহত ৩

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পিএম, ১০ জুন ২০২৪ সোমবার

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন তিনজন। সোমবার (১০ জুন) ভোররাতে উখিয়ার ৪ নম্বর (এক্সটেনশন) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ওই ক্যাম্পের এফ ব্লকের জাফর আহম্মদের ছেলে মো. ইলিয়াছ (৩১), মৃত আব্দুর রকিমের ছেলে মো. ইছহাক (৫৪) ও ক্যাম্প-৩-এর ই ব্লকের মো. ইসমাইলের ছেলে ফিরোজ খান (১৮)। 

এ ঘটনায় আহত তিনজন হলেন- হাছনের ছেলে আব্দুল হক (৩২), নজির আহাম্মদের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (৫৫) ও মৃত ওমর মিয়ার ছেলে আব্দুল মোনাফ (৬০)। তাঁরা সবাই এফ ব্লকের বাসিন্দা।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ক্যাম্প প্রশাসনের সহযোগিতায় লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে উখিয়া থানা-পুলিশ জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ভোররাত পৌনে চারটার দিকে রোহিঙ্গা মো. ইলিয়াছকে সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসওর সদস্যরা গুলি করে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত-পায়ে ও তলপেটে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে তিনি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ ঘটনার পর ভোর সোয়া চারটার দিকে আরেক সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আরএসওর সমর্থক মো. ইছহাক, ফিরোজ খান, আব্দুল হক, আব্দুস শুক্কুর ও আব্দুল মোনাফকে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। আহত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. ইছহাক ও ফিরোজ খানকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রথমে নিহত রোহিঙ্গা ইলিয়াছ আরসার সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। আরসা সম্পর্কে তথ্য দিতে রাজি না হওয়ায় আরএসওর সদস্যরা প্রথমে তাকে হত্যা করেন। পরে ঘটনার খবর পেয়ে আরসার সদস্যরা এসে কয়েকজন আরএসওর সমর্থকের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এতে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজন নিহত হন। 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. ইকবাল বলেন, ‘একজন ঘটনাস্থলে মারা যান। দুজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তারা মারা যান। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহত ব্যক্তিদের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

কেআই//