ফাঁকা রাজধানী, বাস টার্মিনাল-স্টেশনে মানুষের ভিড়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ১৫ জুন ২০২৪ শনিবার
পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে কর্মস্থল ছাড়ছেন লাখ লাখ মানুষ। চিরচেনা ব্যস্ত রাজধানী ঢাকার চিত্র এখন একদমই অন্যরকম। যানজটে ভরা শহরের রাস্তাগুলো একদমই ফাঁকা।
এদিকে রাজধানীর বাস টার্মিনাল ও ট্রেন স্টেশনে আজ শনিবার ভোর থেকেই রয়েছে মানুষের ভিড়। পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনে রাজধানী ছাড়ছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাস ধরতে যেন কোনোভাবেই দেরি না হয়, সে জন্য আগেভাগেই টার্মিনাল ও কাউন্টারে পৌঁছানোর কথা জানান যাত্রীরা। এবারও গুলিস্তান, মহাখালী, গাবতলী, সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন বাস টার্মিনালে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে।
যাত্রীচাপ বাড়ায় টার্মিনালের আশপাশের সড়কে রয়েছে যানজট। টিকিটবিহীন যাত্রী ঠেকাতে কমলাপুর রেলস্টেশনে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তবে প্রতিবারের মতো এবারও ট্রেনে রয়েছে ভিড়। আগাম টিকিট না পেয়ে ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিটে অনেক যাত্রী বাড়ি ফিরছেন। এতে বগির ভেতরে রয়েছে ভিড়।
দূরপাল্লার গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলে অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন।
শনিবার ভোর থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুতে স্বাভাবিক সময়ের মতোই যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জ প্রান্তে যানবাহনের জটলা বা যাত্রীদের কোনো বিড়ম্বনা দেখা যায়নি। নির্বিঘ্নে ওই মহাসড়ক হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে যানবাহনগুলো। ওই পথে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জিয়াউল হায়দার জানান, শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। শনিবার ভোর থেকে এই পথে স্বচ্ছন্দে ও নির্বিঘ্নে গন্তব্যে যাচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে বৃহস্পতিবার থেকেই রাজধানী ছাড়ছে নগরবাসী। ঈদযাত্রায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও দেখা গেছে যাত্রীর ভিড়। শুক্রবার ছুটির দিনে প্রায় প্রতিটি লঞ্চ ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ।
লঞ্চ ও ঘাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার যাত্রী সমাগম বেশি ছিল। লঞ্চগুলো যেন বেশি ভাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী না নিতে পারে সে বিষয়ে নজরদারি করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
এমএম//