ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ: রাষ্ট্রপতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৪৯ পিএম, ১৬ জুন ২০২৪ রবিবার

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে।’

রোববার ‘পবিত্র ঈদুল আজহা’ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন তিনি।

 রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মহান আল্লাহর নিকট কুরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও বৈধ উপার্জন আবশ্যক। পশু কুরবানির সাথে সাথে যাতে আমরা অন্তরের কলুষতা, হিংসা, বিদ্বেষ পরিহার করতে পারি- মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করছি।’

আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত স্থানে কুরবানি করে এবং কুরবানির বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ বন্ধে সকলে সচেষ্ট থাকবেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগের শিক্ষা ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ)কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয় এবং আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।’

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘কুরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব জাগ্রত করে এবং সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। নানাবিধ যুদ্ধ-বিগ্রহ ও সংঘাত-সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক মানুষ নানা প্রতিবন্ধকতা ও কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।’

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বের অনেক স্থানে মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে ও বিনা চিকিৎসায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। স্বজনহারা বেদনায় গভীর শোক আর নিদারুণ কষ্টে তাদের জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। তাদের কথাও আমাদের ভাবতে হবে। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে আমাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা ও সমর্থন যোগাতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ঈদের খুশিতে তারাও যাতে শরিক হতে পারে সে চেষ্টা চালাতে হবে। কেউ যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে আমি দেশের বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হোক- এটাই সকলের কাম্য।

এএইচ