ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বন্যা: সিলেটে দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৩৪ পিএম, ১৮ জুন ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:৪০ পিএম, ১৮ জুন ২০২৪ মঙ্গলবার

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে সিলেট অঞ্চলে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে সিলেটের বিস্তীর্ণ এলাকা। এরই মধ্যে দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন। 

জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, ওসমানীনগর সহ কয়েকটি উপজেলায় প্রবল বেগে ঢুকছে উজানের ঢল। গোয়াইনঘাট-সালুটিকর, গোয়াইনঘাট-জাফলং সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

কানাইঘাট উপজেলা সদরে কোমর পরিমাণ পানি প্রবাহিত হচ্ছে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ২৭ ঘন্টায় সিলেটে ১৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া, সিলেট নগরের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নগরের ১০টি ওয়ার্ডের ২৫টি এলাকায় পানি ঢুকেছে। নগরে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। 

এদিকে মঙ্গলবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয় জানায়, এ সময় পর্যন্ত সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীটির সিলেট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার এবং নদীর সারিগোয়াইন পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহানগরের সব নিচু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। বিশেষ করে শাহজালাল উপশহর প্রায় পুরোটাই পানির নিচে। অনেকের বাসার নিচতলায় গলা পর্যন্ত পানি। এছাড়া যতরপুর,মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, রায়নগর, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, কামালগড়, মাছিমপুর, তালতলা, জামতলা, কাজিরবাজার, মাদিনা মার্কেট, আখালিয়া ও মেজরটিলাসহ মহানগরের অধিকাংশ এলাকা বন্যা কবলিত।

এছাড়া মহানগরের মধ্যে অনেক প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি রয়েছে। এয়ারপোর্ট সড়ক, সিলেট-তামাবিল সড়ক, দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডসহ বিভিন্ন সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান পানির নিচে।

বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদের দিন কুরবানির পশুর মাংস, শুকনো খাবার, স্যালাইন ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।

সিলেট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সিলটের সব উপজেলায় মোট ৫৩৮টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। সোমাবার রাত পর্যন্ত জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৪৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

এএইচ