তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র-দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার উপরে
প্রতিনিধিদের খবর
প্রকাশিত : ০৩:৩৩ পিএম, ১৯ জুন ২০২৪ বুধবার
দেশের অভ্যন্তরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমা ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও রাজারহাট উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী চর, দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চলের কিছু ঘরবাড়ী, গ্রামীণ কাঁচা সড়ক ও মৌসুমী ফসলের ক্ষেত। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে অন্ততঃ ৫শ’ পরিবার।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ বুধবার সকাল ৬টায় দুধকুমার নদের পানি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাটেশ্বরী পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পাচেছ।
এদিকে, প্রবল বৃষ্টি এবং উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে আদিতমারি উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, সর্দারপাড়া, হরিনচড়া, সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছসহ অন্তত সাতটি এলাকার নিম্নাঞ্চলে চাষাবাদকৃত বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তিন শতাধিক পরিবার।
তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ধরলা ও সানিয়াজান নদীর পানিও বেড়েছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আজ বুধবার তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়াও উজানের পাহাড়ী ঢল, ভারী বৃষ্টির কারণে গাইবান্ধায় সবগুলো নদ-নদীতে ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কামারজানি, কুন্দেরপাড়া সহ কয়েকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন।
ফলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া, হরিপুর, বেলকা, লালচামার, ছেড়িমারারচরসহ অন্তত ১২টি চরাঞ্চলে পানি উঠেছে বলে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য দিয়েছে। তবে ঘাঘট, করতোয়াসহ কয়েকটি নদীর পানি বৃদ্ধি হলেও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এএইচ