দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে লড়াই করে হারলো যুক্তরাষ্ট্র
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০২ এএম, ২০ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:০৩ এএম, ২০ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে চমক দেখিয়েছিল স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের মতো পরাশক্তিকে বিদায় করে সুপার এইটে জায়গা করে নেয় তারা। তবে সুপার এইটে আর পেরে ওঠেনি মার্কিনিরা। শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত আর জিততে পারেনি স্বাগতিকরা।
বুধবার (১৯ জুন) অ্যান্টিগুয়ার নর্থ সাউন্ডে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অ্যারোন জন্স। ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা। জবাব দিতে নেমে প্রোটিয়াদের কাছে ১৮ রানে হেরে যায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিনিরা থেমেছে ১৭৬ রানে।
বড় টার্গেটের ম্যাচে শায়ান জাহাঙ্গীরের বদলে স্টিভেন টেইলরকে ওপেনিং করতে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। সেই বাজি শুরুর দিকে বেশ কাজে দিয়েছিল। ওভারপ্রতি প্রায় ৯ রান দরকার ছিল। ১৪ বলে ২৪ রান করে সে কাজটা টেইলর করেছেন ভালোভাবেই। ৩.৩ বলে দলীয় ৩৩ রানে অবশ্য থামে টেইলর ঝড়। রাবাদার বলে আউট হন তিনি।
নীতিশ কুমারের ব্যাট থেকে আসে মোটে ৮ রান। যাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের এত প্রত্যাশা, সেই অ্যারন জোন্স ৫ বলে করেছেন ০ রান। ঝড়ের আভাস দিয়ে কোরি অ্যান্ডারসন ফেরেন ১২ বলে ১২ রান করে। আর শায়ানের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ৩ রানের ছোট এক ইনিংস।
এ পর্যন্ত সবই ছিল গতানুগতিক। এরপরেই জ্বলে উঠেন আন্দ্রে গোস। ওপেনিং নেমে দেখেছিলেন সতীর্থদের আসা-যাওয়া। তারপর শুরু হলো তাণ্ডব। বিপরীতে হারমিত সিংয়ের যোগ্য সঙ্গ। হারমিত আসার আগে তার স্কোর ছিল ২৪। এরপর ২১ বলে তুললেন ৪৯ রান।
পিছিয়ে ছিলেন না হারমিতও। ২২ বলে ৩ ছক্কা আর ২ চারে করলেন ৩৮ রান। রাবাদার করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলে আউট না হলে, হয়ত এ ম্যাচের গল্পও হতো অন্যরকম।
প্রোটয়াদের পক্ষে কাগিসো রাবাদা নেন ৩টি উইকেট।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শক্ত পুঁজি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি কক ৪০ বলে ৭৪ ও এইডেন মার্করাম ৩২ বলে ৪৬ রান করেন। শেষদিকে ট্রিস্টান স্টাবসের ২০ আর হেনরিখ ক্লাসেনের ৩৬ দক্ষিণ আফ্রিকাকে এনে দেয় ১৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সৌরভ নেত্রাভালাকার ও হারমিত সিং নেন ২টি করে উইকেট।
ম্যান অব দ্য নির্বাচিত হয়েছেন কুইন্টন ডি কক
এএইচ