প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী গণমাধ্যমব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দোপাধ্যায়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১২ পিএম, ২০ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:১৪ পিএম, ২০ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’দিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যাচ্ছেন। ভারতের পক্ষ থেকে দ্বিপক্ষীয় এই সফরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার প্রতিনিধি দলে কারা থাকবেন, সেই তালিকাও দিল্লির কাছে পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ছাড়াও অন্য যে মন্ত্রী বা মন্ত্রী পর্যায়ের সদস্যরা শেখ হাসিনার সঙ্গে দিল্লিতে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।
৮৫ জনের এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন ভারত সরকারের আস্থাভাজন ও সুসম্পর্ক আছে এমন বিশিষ্টজনরা। দিল্লিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ। এছাড়া প্রতিবারের মতোই বাংলাদেশের সিনিয়র সম্পাদকদের একটি দলও প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে দিল্লিতে যাচ্ছেন। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনায় গঠিত সামাজিক সংগঠন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এর আহ্বায়ক এবং বিশিষ্ট্ সংস্কৃতিসেবী পীযুষ বন্দোপাধযায় এই তালিকায় গুরুত্ব পেয়েছেন। এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ আরও ৭ জন সম্পাদক থাকছেন সফরসঙ্গী হিসেবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টেলিভিশনের বর্তমান নির্বাহী পরিচালক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধারে নাট্যকার, আবৃত্তিকার, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, সংগঠক, অনুসন্ধানী পাঠক, প্রতিশ্রুতিশীল লেখক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতোকোত্তর পীযূষ বন্দোপাধ্যায় ১৯৮৫ সাল থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে লেখালেখি শুরু করেন। এখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে বাংলাদেশের প্রথম সারির প্রতিটি গণমাধ্যমে নিয়মিত কলাম লিখছেন। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় নব্বইয়ের দশকে দৈনিক লালসবুজ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। মৌলিক সাহিত্য, গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, ছড়া এবং সম্পাদনাসহ ১৬টি প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে তার। পিয়ং ইয়ং ও উত্তর কোরিয়ায় বিশ্বছাত্র-যুব সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন তিনি। নিউ ইয়র্কে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ফোবানা সম্মেলনে একাধিকবার অংশগ্রহণ, জার্মানির বার্লিনে আন্তর্জাতিক লোক উৎসবে যোগদান, কলকাতায় আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব এবং মিসরের কায়রোতে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাকালীন স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ষাটের দশকের শেষের দিকে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে হাতেখড়ি তার। সেই সূত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরাসরি সাহচর্যে আসেন।
বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখতে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় গড়ে তুলেছেন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামের একটি অনবদ্য অরাজনৈতিক সংগঠন। তার এই দীর্ঘ সংগ্রামের পথে নানা বাধা এসেছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির কোপানলে পড়েছেন বহুবার। নানা সময়ে লন্ডন, নিউ ইয়র্ক ও ঢাকায় একাধিকবার তার জীবননাশের চেষ্টাও করা হয়। তবুও থেমে নেই তার এই পথচলা।
/আআ/