ঢাকা, সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪,   আষাঢ় ১৬ ১৪৩১

শতবর্ষে কণিকা স্মরণে ‘মিতালী’ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৭ পিএম, ২৪ জুন ২০২৪ সোমবার

কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান উৎসারিত হত ঝরনার মত স্বতস্ফূর্ত ভাবে। কণিকা ছিলেন সেই বিরলতম শিল্পী যিনি শুধুমাত্র গান পরিবেশন করতেন না, নিবেদন করতেন। রবীন্দ্রনাথকে ঘিরেই ছিল তাঁর আজীবনের জীবনচর্যা ও সাধনা। সে সাধনা একান্ত নিভৃতের। 

প্রবাদপ্রতিম রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (মোহরদি) জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২২শে জুন শিশির মঞ্চে সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তাঁরই প্রতিষ্ঠিত সংস্থা 'মিতালী: ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক পরিষদ'। এটি ছিল 'মিতালী'-এর বর্ষব্যাপী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় শতবার্ষিকী পালনের দ্বিতীয় পর্ব। প্রথম পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্পীর শততম জন্মদিনে অর্থাৎ গত ১২ই অক্টোবর শান্তিনিকেতনে। 

শিশির মঞ্চের অনুষ্ঠানে 'শতবর্ষে মোহরদি' শীর্ষক স্মরণিকা প্রকাশ করেন বিশ্বভারতী ভাষা ভবনের সহঃ অধ্যক্ষ ডঃ তপু বিশ্বাস, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সভাপতি অধ্যাপক প্রদীপ ভট্টাচার্য। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নানাজনের লেখা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই স্মরণিকাটি। এর মধ্যে কয়েকজন লিখেছেন তাঁদের সঙ্গে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত স্মৃতির কথা। ব্যস্ততার ফাঁকে সময় বার করে এসে গানে মোহরদিকে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। 

ভারত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের সুচারু সঙ্গীত পরিবেশন এই মনোজ্ঞ সন্ধ্যাকে আলাদা মাত্রা দেয়। শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন ফাহিম হোসেন চৌধুরী (বাংলাদেশ),  প্রবুদ্ধ রাহা, অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায়, অলোক রায় চৌধুরী, তিমির বরণ ঘোষ, শীর্ষ রায়, বিভাবেন্দু ভট্টাচার্য,  মধুরিমা দত্ত চৌধুরী, এরিনা মুখার্জী, শ্রবণা ভট্টাচার্য,  শ্রয়ন সেনগুপ্ত। মোহরদির সঙ্গে তাঁদের সান্নিধ্যের স্মৃতি রোমন্থন করেন স্বপ্না ঘোষাল, শ্রবণা ভট্টাচার্য, বাচিক শিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়। সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন অনুপ ঘোষ।