দু’শতম পর্বে ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৪৩ পিএম, ২৫ জুন ২০২৪ মঙ্গলবার
আশ্রয়হীন ভাসমান জনগোষ্ঠীর উন্নত জীবনের বাস্তবতা নিয়ে নির্মিত ধারাবাহিক তথ্যচিত্র ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’ পৌঁছুলো দু’শতম পর্বে। আগামী ২৮ জুন ২০২৪ তারিখ, শুক্রবার রাত ৮ টায় একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত হবে অনুষ্ঠানটি। বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ ও কাহালুর খেটে খাওয়া ভাসমান মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে নির্মিত হয়েছে এবারের পর্ব।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভাসমান ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর ভবঘুরে অনিশ্চিত জীবনযাপনের তল্পিতল্পা গুটিয়ে স্থায়ী ঠিকানায় গড়ে তুলেছে আপন নিবাস এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন। দুর্যোগে, দূর্বিপাকে জীবনের সঙ্গে লড়াই করা ভূখা-নাঙ্গা মানুষ আজ স্বাবলম্বী, দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের অভাব মিটিয়ে যে বিশাল জনগোষ্ঠী প্রশিক্ষণে হয়ে উঠেছে দক্ষ জনবল।
সমাজের বোঝা খেতাবের অভিশাপ চুকিয়ে সেই মানুষই হয়েছে জাতীয় অর্থনীতির অংশীদার। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুনাগরিকের দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে সেই অবহেলিত জনগোষ্ঠীই এখন অধিকার সচেতন। বিনামুল্যে, বিনাশর্তে এমন ভূমিহীন অসহার পরিবারকে দুই শতক জমি ও দুই কক্ষবিশিষ্ট বাড়ির মালিকানা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বিশ্বজুড়ে।
প্রশংসিত এই মানবিক উদ্যোগের কারিগর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে, প্রতিটি উপজেলার তৃণমূলে পা ফেলে সেইসব ঘুরে দাঁড়ানো মানুষ ও জনপদের গল্পগাঁথা তুলে এনেছে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ টিম।
‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’ তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও একুশে টেলিভিশনের পরিচালক রবিউল হাসান অভী। পর্ব পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন আকবর হোসেন সুমন। পান্ডুলিপি লিখেছেন আকবর হোসেন সুমন, দিপু সিকদার এবং মানিক শিকদার।
চিত্রগ্রাহক ফারুক হোসেন তানভীর ও আলী আহমেদ রুবেল, সম্পাদক শ্যাম সুন্দর নন্দী, গ্রাফিক্স ডিজাইনার সুজিৎ হালদার, তথ্যপ্রযুক্তি কারিগর আরিফুল ইসলাম ইমন ও ওমর ফারুক এবং ব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম এই তথ্যচিত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সার্বিক সহায়তা ও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন।
এছাড়া জেলা প্রশাসক, স্থানীয় প্রশাসন এবং একুশে টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধিরা বদলে যাওয়া বাংলাদেশ তথ্যচিত্রে নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা প্রদান করেছেন।
২০২২ সালের ২০ মে থেকে সুনামগঞ্জের বদলে যাওয়া জনপদ ও মানুষের জীবনযাপন চিত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’। ইতোমধ্যে টিম পা রেখেছে ৩৮ জেলার প্রায় আড়াইশ উপজেলায়। ফ্রেমে বন্দী করেছে সহ¯্রাধিক মানুষ ও ছিন্নমূল সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের অজানা গল্প। দেশের টেলিভিশন শিল্পে ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’র মতো ধারাবাহিক তথ্যচিত্র এটিই প্রথম। টেলিভিশনে প্রচারের পর একুশে টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজে প্রতিটি পর্ব দেখতে পারবেন দর্শকরা।
কেআই//