ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪,   আষাঢ় ২০ ১৪৩১

ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কৃষকের কাছে পৌঁছবে কৃষিঋণ

তৌহিদুর রহমান

প্রকাশিত : ১১:৫৩ এএম, ৩০ জুন ২০২৪ রবিবার

এনজিও কমিয়ে কৃষকের কাছে কৃষিঋণ পৌঁছাতে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ঋণের টাকা বিতরণ করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ বিতরণে জমির দলিল কিছুটা জটিলতা তৈরি করে জানিয়ে সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।

কৃষিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল দেশের ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত উদ্ভাবিত হয়েছে এক হাজার জাত ও ১৪শ' উন্নত কৃষিপ্রযুক্তি। ফলে সে সময়কার সাড়ে সাত কোটি মানুষের স্থলে এখন ১৮ কোটি হলেও খাদ্যে অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। 

বিশ্বে ধান ও সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, মাছ ও চা উৎপাদনে চতুর্থ, পাট উৎপাদনে ২য় বাংলাদেশ। আলু, পেয়ারাসহ সামগ্রিকভাবে কৃষি উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় সহজে খাদ্যপণ্য পাচ্ছে মানুষ।

আর সরকার তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ সহায়তা এসব পণ্য উৎপাদনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ বছর পল্লী এবং কৃষিখাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ হাজার কোটি টাকা। 

বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, “এখন পর্যন্ত এই খাতে বিতরণ করা হয়েছে ৩৩ হাজার ২শ” ৯৬ কোটি টাকা। যেটা লক্ষ্যমাত্রার ৯৫.১৩ শতাংশ। আশা করছি, এই জুন মাসের মধ্যে অবশিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।”

ঋণের ৪৫ শতাংশ ফসল, ২৫ শতাংশ প্রাণিসম্পদ এবং পোল্ট্রিখাতে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

মেজবাউল হক বলেন, “এই খাতে যে ঋণগুলো যায় সেটা বিভিন্ন পল্লী ও কৃষিঋণ। এর মধ্যে মূলত ৪৫ শতাংশই যায় ফসল উৎপাদনে। আমরা গতবছরও কৃষিঋণের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তার পুরোটাই অর্জন করেছি।”

ঋণ বিতরণে জমির দলিল কিছুটা জটিলতা তৈরি করে জানিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।

বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র বলেন, “সেই জায়গায় কোনো সমস্যা থাকতে পারে। তবে ক্রিয়াগত দিক থেকে এটা অনেক সহজ করার একটা কার্যক্রম আমাদের আছে।”

এএইচ