প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে যোগ দিলেন ড. রকিবুল হাসান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৫৯ পিএম, ১ জুলাই ২০২৪ সোমবার
প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে যোগ দিলেন অধ্যাপক ড. রকিবুল হাসান। সোমবার (১ জুলাই) তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন। তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. হুমায়ুন কবির। এ সময়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও গবেষণা অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন। এরও আগে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ও উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (অনার্স), এমএ ও পিএইচডি করেছেন।
রকিবুল হাসানের জন্ম ১৯৬৮ সালের ৩১ মে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মোহা. উকিল উদ্দিন শেখ। মাতা পরীজান নেছা। তিনি একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক, কথাসাহিত্যিক।
গবেষণা-গ্রন্থগুলো হলো: সাহিত্যের নন্দনচর্যা, পঞ্চাশের সাহিত্যে জনপ্রিয় যুবরাজ, ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার ও ফোকলোর, বাংলা জনপ্রিয় উপন্যাসের ধারা: মীর মশাররফ হোসেন থেকে আকবর হোসেন, বিপ্লবী বাঘা যতীন, আকবর হোসেনের কথাসাহিত্য: রূপলোক ও শিল্পসিদ্ধি, কয়ায় রবীন্দ্রনাথ, বাঘা যতীন ও প্রাজ্ঞজন।
প্রবন্ধ গ্রন্থগুলো হলো: গড়াই নদীর পাড়, পথে যেতে যেতে, পথের কথা, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম, প্রবন্ধ প্রমূর্ত: ভিতর বাহির, রবীন্দ্রনাথ ও বাঘা যতীন, প্রবন্ধ সংগ্রহ, বিপ্লবী বাঘা যতীন এবং বাঙালির চার ট্র্যাজি নায়ক।
অধ্যাপক ড. রকিবুল হাসানকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. হুমায়ুন কবির
উপন্যাস: জীবন দিয়ে ভালোবাসি, এ কী তৃষ্ণা এ কী দাহ, নবীরন, ভাঙন, ছায়াবন্দি, অহনাবউ, অগ্নিকা আঁধার ও চন্দনা যখন নদী হয়ে যায়।
গল্পগ্রন্থ: মেয়েটির চোখে শিশির জমেছিল, প্রেমের বেলা নেই।
কাব্যগ্রন্থ: অনিয়ম চুম্বনের সিঁড়ি ধরে, এক ধরনের অহংকার, দুঃখময়ী শ্যামবর্ণ রাত, দেবতীদেউল, রহস্যস্বাক্ষর, রকিবুল হাসানের প্রেমের কবিতা, ব্যর্থ ভয়ঙ্কর দৌড়ের কাছে, স্বদেশলক্ষ্মীর তিমিররাত্রি, (যৌথ), ধুলোমাটির ঘ্রাণ, বুলবুলবেদনাকাব্য; জলের গোপন গল্প, কবিতাসংগ্রহ এবং মাজিভাই।
সাক্ষাৎকারভিত্তিক গ্রন্থ: ইন্টারভিউ।
সম্পাদিত গ্রন্থ: বিমূঢ় বিস্ময় জীবনানন্দ দাশ (যৌথ) সহ ১৩টি।
সম্পাদিত পত্রিকা: সাপ্তাহিক অর্থবিত্ত ২২ বছর ধরে সম্পাদনা করছেন। পিআররিভিউ জার্নাল ‘গবেষণা সাময়িকী (১-৪) সংখ্যা সম্পাদনা করেছেন। এনইউবি বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি গবেষণা পত্রিকার সম্পাদক। সাহিত্যের অনিয়মিত কাগজ গৈরিক, একক, কলরব ও সংগতির সম্পাদক।
সম্পাদিত ও ভূমিকা সংবলিত গ্রন্থ: বহুমাত্রিক বঙ্গবন্ধু; বিমূঢ় বিস্ময় জীবনানন্দ দাশ; বিষাদ-সিন্ধু, মীর মশাররফ হোসেন; নির্বাচিত গল্প, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়; নীল-দর্পণ, দীনবন্ধু মিত্র; গৃহদাহ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়; আমার সোনার বাংলা কই ; কত কবিতা শুনলাম কিন্তু; নব তরঙ্গের ধ্বনিবন্ধ; সিন্ধুতরঙ্গ; কমরেড ব্রজেন বিশ্বাস; চ্যানেল আইয়ের তৃতীয় মাত্রায় অপু উকিল ও যৌবনটাই জীবন নয় (নাটক), আকবর হোসেন।
জার্নাল সম্পাদনা:
১. গবেষণা সাময়িকী, ISSN: ২৪০৯-৯৯৫৩, ১ম সংখ্যা মার্চ, ২০১৫, বাংলা বিভাগ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
২. গবেষণা সাময়িকী, ISSN: ২৪০৯-৯৯৫৩, ২য় সংখ্যা, অক্টোবর, ২০১৫, বাংলা বিভাগ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
৩. গবেষণা সাময়িকী, ISSN: ২৪০৯-৯৯৫৩, ৩য় সংখ্যা ফেব্রুয়ারি ২০১৭, বাংলা বিভাগ সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
৪. গবেষণা সাময়িকী, ISSN: ২৪০৯-৯৯৫৩, ৪র্থ সংখ্যা, জুলাই ২০১৮, বাংলা বিভাগ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়,
৫. এনইউবি বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি গবেষণা পত্রিকা, ISSN: ২৭১০-৪৪৫১, ১ম সংখ্যা, ফেব্রুয়ারি ২০২১, বাংলা বিভাগ, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ।
৬. এনইউবি বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি গবেষণা পত্রিকা, ISSN: ২৭১০-৪৪৫১, ২য় সংখ্যা, ফেব্রুয়ারি ২০২২, বাংলা বিভাগ, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ।
পুরস্কার-সম্মাননা
সাহিত্যকর্মে স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন সেরা গ্রন্থপুরস্কার (বাংলা জনপ্রিয় উপন্যাসের ধারা) ২০২৩; ব্রাদার্সপেস সম্মাননা-২০২৩; নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ সম্মাননা-২০২৩; চর্যাপদ সাহিত্য পুরস্কার-২০২২; এবং মানুষ সাহিত্য পুরস্কার-২০২২; কুষ্টিয়ার নারী উদ্যোক্তা সম্মাননা-২০২২; বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব সাহিত্য পুরস্কার-২০২০; শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার-২০১৯; কবি ওমর আলী স্বর্ণপদক-২০১৮; লালন সাঁই পুরস্কার-২০১৫; ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ সম্মাননা-২০১১; দ্য সান সম্মাননা-২০১০; চাইল্ড হেভেন সম্মাননা-২০১০; বাংলা সাহিত্য পদক-২০০৬; স্যার সলিমুল্লাহ পদক-২০০৬।
কেআই//