ব্রাহমা গরুর আমদানি নিষিদ্ধ যে কারণে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৯ এএম, ২ জুলাই ২০২৪ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:১০ এএম, ২ জুলাই ২০২৪ মঙ্গলবার
সাদিক এগ্রোর ব্রাহমা জাতের গরু বিক্রির ঘটনার পর থেকেই জনসাধারণের মনে প্রশ্ন, এই জাতের গরু কি আসলেই নিষিদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন তথ্যে বিভ্রান্তও হচ্ছেন অনেকে। অনেকে ভাবছেন এই গরুর মাংস খাওয়া হয়তো নিরাপদ নয়। কিন্তু বিষয়টি মোটেও এমন নয়।
ব্রাহমা জাতের গরু বাংলাদেশে আমদানি নিষিদ্ধ, তবে উৎপাদন ও পালন নিষিদ্ধ নয়। এই জাতের গরুর মাংস খাওয়াতেও কোনো বাধা নেই।
এখন প্রশ্ন হল, এই জাতের গরু আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা কেনো।
২০১৪ সালে ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে বাংলাদেশে গরুর মাংসের সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দেয়। সে সময় ব্যাপকভাবে ব্রাহমা গরু উৎপাদনের দিকে যায় সরকার।
ব্রাহমা জাতের গরু পালন খামারিদের জন্য সহজ এবং লাভজনক হওয়ায়, আর রোগ বালাইও অন্যান্য জাতের গরুর চেয়ে কম হওয়ায় স্থানীয় খামারিদের কাছে এই গরু অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কিন্তু এই জাতের গরুর একটি নেতিবাচক দিক রয়েছে, সেটি হল এই গরুর দুধ পরিমাণে খুবই কম হয়।
এই অবস্থায় যদি ব্যাপক হারে ব্রাহমা জাতের গরুর উৎপাদন আমদানি হয়ে থাকে তাহলে খামারিরা হোলস্টেইন জাতের এবং ফ্রিজিয়ান জাতের গরু উৎপাদনে আগ্রহ হারাতে পারে। এই দুই জাতের গরু দুধের উৎপাদনের জন্য খ্যাত। আর এর উৎপাদন কমলে দেশে গরুর দুধের উৎপাদন একেবারেই কমে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। এমন অবস্থায় ২০১৬ সালে এক নীতিমালা দিয়ে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এই জাতের সিমেন সংগ্রহ করে প্রজনন ঘটানো যাবে।
এসবি