ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবি অযৌক্তিক: অর্থমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৫৭ পিএম, ২ জুলাই ২০২৪ মঙ্গলবার

প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করে আসছে। এরই মধ্যে কোথাও কোথাও অচলাবস্থা তৈরি খবর আসছে। এ বিষয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

তিনি এ আন্দোলন এবং দাবিকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াংমিং ইয়ংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক। প্রত্যয় স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনের কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন সব শ্রেণির কর্মচারীর মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, তা সবকিছুকে বাজে পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে। এমন একটি বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মধ্যে চরম হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে তা কেবল আমাদের যৌক্তিক দাবি তথা প্রত্যয় স্কিম বাতিলের মধ্য দিয়েই নিরসন সম্ভব। এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মচারী চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। একই বেতন স্কেলের আওতাধীন কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রত্যয় স্কিম বাতিল করতে হবে। অন্যথায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, আজকে আমরা এ জায়গায় দাঁড়িয়েছি আমাদের জন্য নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য। যারা ভবিষ্যতে এই পেশায় আসবে তাদের কথা ভেবে।

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি শাহেদ হাসান খান বলেন, শিক্ষকদের মানুষ গড়ার কারিগর বলা হয়। কিন্তু সরকার যে বৈষম্যমূলক পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তা দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। আমাদের দাবি আদায় না হলে আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাবো।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম বলেন, আমরা এই আন্দোলন নিজেদের জন্য করছি না। বরং আগামী প্রজন্মের জন্য করছি। দেশে এত দুর্নীতির কথা আমরা শুনি। সেসব কী শিক্ষকরা করেছে? তাহলে কেন তাদের সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। এই প্রত্যয় স্কিম বৈষম্যমূলক।

এমএম//