ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

তৃতীয় দিনের মত সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে বেরোবি শিক্ষক সমিতি

বেরোবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৫৭ পিএম, ৩ জুলাই ২০২৪ বুধবার

জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারসহ তিনদফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির তৃতীয় দিন পালন করছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষকরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থার। 

ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। এতে সেশনজটের শঙ্কায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা।   

বুধবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করে সকাল থেকেই সর্বাত্মক পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করছেন বেরোবির শিক্ষকরা। 

বেরোবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী ও সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডলের নেতৃত্বে শিক্ষকেরা দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৪ এর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। 

অপরদিকে কর্মকর্তারা সকাল থেকেই কর্মবিরতি দিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন। অলস সময় পার করতে দেখা গেছে কর্মচারীদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ফটকে তালা ঝোলানো। যেসব বিভাগ খোলা হয়েছে সেগুলোর ক্লাসরুমগুলো তালাবদ্ধ। ক্যাম্পাসে নেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। একাডেমিক ব্যস্ততার জায়গাগুলোতে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। 

বেরোবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ বলেন, তৃতীয় দিনের মত আমরা আজকেও সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে আছি। কিন্তু সরকার থেকে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাইনি। মাননীয় অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি আমাদের তথা শিক্ষক সমাজের জন্য অপমানজনক। আমরা এর সমাধান চাই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়া আমরা কোনো মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে সাড়া পাইনি।

বেরোবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী বলেন, সরকার আমাদের দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এ সময় সকল ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। সরকার আমাদের দাবি মেনে নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৩ মার্চ সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আর এতে ‘প্রত্যয় স্কিম’ এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্তর্ভূক্তির শুরু থেকেই এই ব্যবস্থাকে একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা বলে বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলো। 

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে এ সংগঠনগুলো দাবি আদায়ে বেশ কিছুদিন ধরে কর্মসূচি পালন করে আসছে।

এএইচ