দুদকের মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার ১৫ কর্মচারী কারাগারে
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:৫০ এএম, ৮ জুলাই ২০২৪ সোমবার
অবৈধভাবে নিয়োগ নিয়ে সরকারি টাকা তসরুপের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার ১৫ কর্মচারীকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
রোববার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো: আশরাফুল ইসলাম।
আসামিরা হলেন- দিপু দাস পাম্প (অপারেটর), আসাদুজ্জামান (বাজার শাখার আদায়কারী), জ্যোতি দেবনাথ (সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক), মারুফ বিল্লাহ (সহকারী কর আদায়কারী), বালী শফিকুল ইসলাম (সহকারী কর আদায়কারী), শারমিন আক্তার বনানী (বিল ক্লার্ক, পানি শাখা), মো. হাচান মাঝি (ট্রাক চালক), হাসনা আক্তার (সুইপার সুপারভাইজার), মো. জিলানী (সুইপার সুপারভাইজার), তানিয়া (এমএলএসএস), অর্পূব কুমার পাল (পাম্প চালক), নিতাই চন্দ্র সাহা (পাম্প চালক), মোহাম্মদ মেহেদী হাসান (সহকারী পাম্প চালক), সাব্বির মাহমুদ (সহকারী কর আদায়কারী), পারভিন আক্তার (সহকারী কর আদায়কারী)।
তারা সবাই পৌরসভার কর্মী ছিলেন।
এই মামলায় বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি না মেনে বাগেরহাট পৌরসভার পাম্প অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে মোট ১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পৌর কর্তৃপক্ষ ও নিয়োগপ্রত্যাশীদের যোগশাযোগে এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত বেতনভাতা-বাবদ সরকারের এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা তসরুপ করেন।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে বাগেরহাট পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক খান হাবিবুর রহমানসহ ১৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করে।
আদালত ২৬ জুন চার্জশীট অনুমোদন করেন।
দুদকের আইনজীবী মিলন কুমার ব্যানার্জি বলেন, পৌরসভার টাকা মানে সরকারের টাকা। পৌর কর্তৃপক্ষ ও নিয়োগপ্রত্যাশীরা যোগশাযগে নিয়োগ নিয়ে অবৈধভাবে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা তসরুপ করেছেন। যা আইন অনুযায়ী অবৈধ। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আসামিরা হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
এদিকে, অবৈধ নিয়োগ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক খান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলা রয়েছে। ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কারাগারে প্রেরণ করা হয় পৌরমেয়র ও সাবেক পৌর সচিব রেজাউল করিমকে। পরে তারা জামিনে মুক্ত হন।
এএইচ