ঢাকা, রবিবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফার ভোটে বামপন্থিদের বাজিমাত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩১ এএম, ৮ জুলাই ২০২৪ সোমবার | আপডেট: ১১:৫১ এএম, ৮ জুলাই ২০২৪ সোমবার

ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটে বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্ট এনএফপি’র জয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত ভোটের পর ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দেওয়া বুথফেরত জরিপের তথ্যানুযায়ী, ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্টে ১৭২ থেকে ২১৫টি আসন পেতে যাচ্ছে বাম জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেতে যাচ্ছে ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোট টুগেদার অ্যালায়েন্স। তারা পেতে পারে ১৫০ থেকে ১৮০টি আসন। আর ১১৫ থেকে ১৫৫টি আসন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকতে পারে ন্যাশনাল র‌্যালি।

ফ্রান্সে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন হয় ২৮৯টি আসন। সেক্ষেত্রে বাম জোটকে সরকার গঠন করতে হলে অন্যদের সমর্থন নিতে হবে, তাতে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠনের সম্ভাবনাই বেশি।

এরইমধ্যে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর জোট টুগেদার অ্যালায়েন্স এবং উগ্র ডানপন্থি ন্যাশনাল র‌্যালির নেতারা। এমনকী সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাতে প্রেসিডেন্টের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন বাম জোটের নেতারা।

ইতোমধ্যে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আতাল পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামীকাল প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।

বাম জোট জয়ের পথে থাকায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে এর সমর্থকরা। রাজধানীর স্তালিনগ্রাদ স্কোয়ারে দর্শনের ছাত্র মেরি ডেলি বলেছেন, ‘আমি সত্যিই খুশি। এর একটা তীব্র শক্তি রয়েছে। আমি এর আভাস পাচ্ছি। তবে আমি চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষায় আছি।’

প্রথম দফার ভোটে সবচেয়ে বেশি ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কট্টর ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন)। প্রথম দফা ভোটের পর অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে আসা ন্যাশনাল র‌্যালিকে নিয়ে বিচলিত হয়ে পড়েন ফ্রান্সের উদার ও মধ্যপন্থীরা। তাই আরএনকে ঠেকাতে বামপন্থীদের জোট এনপিই ও ম্যাক্রোঁর জোট টুগেদার অ্যালায়েন্সের মধ্যে আপস হয়। এই দুই জোট মিলে দুই শতাধিক প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরিয়ে দেন। এই কৌশলেই বাজিমাত হয়েছে বাম ও মধ্যপন্থীদের।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, কট্টর-ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালি-আরএন সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হতে পারে। আরএন যদি পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতো, তবে তা হতো ফ্রান্সের ইতিহাসে বড় এক বাঁকবদল। কারণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কট্টর ডানপন্থী কোনো দল দেশটিতে ক্ষমতায় আসতে পারেনি। 

ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন, প্যারিস এবং অন্যান্য শহরে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে। জাতীয় পরিষদের বাইরে বিক্ষোভের কর্মসূচি থাকলেও তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরই মধ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। 

রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে ৩০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এএইচ