ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ফ্রান্সের স্বপ্নভঙ্গ, ১২ বছর পর ইউরোর ফাইনালে স্পেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০০ এএম, ১০ জুলাই ২০২৪ বুধবার | আপডেট: ০৯:০৭ এএম, ১০ জুলাই ২০২৪ বুধবার

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালের ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে যাওয়া ফ্রান্সকে হারিয়ে ১২ বছর পর ফাইনালে উঠলো তিনবারের যৌথ রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন স্পেন। এর মধ্যদিয়ে দুর্দান্ত ফর্মের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলো দলটি।

ইউরো শুরুর আগে এমবাপ্পে জানিয়েছিলেন তার অপূর্ণ ইচ্ছের কথা। বলেছিলেন ইউরো জিততে কতটা মুখিয়ে রয়েছেন তিনি। তবে তার সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে সেমিফাইনালে এসে। স্পেনের বিপক্ষে দলকে জেতাতে পারেননি এমবাপ্পে। তার দল ফাইনালে উঠার ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে হেরে বসেছে ২-১ গোলে। অথচ, এদিন ম্যাচের প্রথম গোলটা ফ্রান্সকে পাইয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছিলেন এমবাপ্পেই।

ফাইনালে উঠার ম্যাচে এদিন ম্যাচের ৯ মিনিটেই ম্যাচে লিড নেয় ফ্রান্স। এমবাপ্পের বাড়ানো বল জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে নেন কালো মুয়ানি। তবে সমতায় ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি স্পেন। ম্যাচের ২১ মিনিটে স্পেনের বিস্ময় বালক লামিলে ইয়ামাল গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। 

ম্যাচে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন লামিলে ইয়ামাল। স্পেনের রাইট উইঙ্গার মাঠে নেমেই পেলের রেকর্ড ভেঙেছেন। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তিকে পেছনে ফেলে মেজর টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান ১৬ বছর বয়সী ইয়ামাল। তারপর সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোতে করেছেন গোল।

সেই গোলের রেশ না কাটতেই ফের গোল হজম করে বসে ফ্রান্স। এ দফায় স্পেনকে এগিয়ে নেন দানি ওলমো। ওখানেই শেষ ফ্রান্সের ইউরোর ফাইনালে উঠার স্বপ্ন।

এরপর প্রথমার্ধে আর ম্যাচে ফেরা হয়ে উঠেনি ফ্রান্সের। চেষ্টার কমতি ছিল না দ্বিতীয়ার্ধেও। তবে তাদের সব চেষ্টা এদিন দক্ষতার সঙ্গেই রুখে দিয়েছে স্প্যানিশ রক্ষণভাগ। 

রক্ষণ সামলে ফরাসিদের রক্ষণে ঢুকে কঠিন পরীক্ষাও নিয়েছে স্পেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গোল করার চেয়ে ফ্রান্সকে আটকানোতেই তাদের মনোযোগ ছিল বেশি। যার প্রমাণ মেলে দু’দলের আক্রমণের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেও। ম্যাচে যেখানে ৪টি আক্রমণ শানিয়েছে স্পেন। সেখানে ৮টি আক্রমণ ছিল ফ্রান্সের। তবে দিনশেষে গোলটাই পায়নি তারা।

দলীয় প্রচেষ্টা ছাড়াও এমবাপ্পে একক নৈপুণ্যে বেশ কয়েকবার আক্রমণ শানিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কিছুতেই কিছু হয়নি। পাল্টা আক্রমণে এসে ৮১ মিনিটে শট নেয় ইয়ামাল। তবে তার সেই শট বার ঘেঁসে বাইরে চলে যায়। এরপর যদিও ৮৬ মিনিটে ম্যাচে সমতা টানার সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্স। দারুণ এক আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরি হলেও সেটি নষ্ট করেন এমবাপ্পে। 

সেই সঙ্গে শেষ হয় ফ্রান্সের ইউরো যাত্রা।

২০১২ সালে তৃতীয়বার ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই প্রথম ফাইনালে উঠলো স্পেন। ইউরোর এক আসরে প্রথম দল হিসেবে ছয় ম্যাচ জিতলো তারা।

আগামীকাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে জয়ী দল স্পেনের বিপক্ষে ফাইনালে মুখোমুখি হবে। সেই ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ১৪ জুলাই রাত ১টায়।

এএইচ