ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১ ১৪৩১

বেরোবি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক

বেরোবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫১ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২৪ বুধবার

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। হামলার ঘটনাকে ‘নৃশংস’ উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছেন সংগঠনটির নেতারা কর্মীরা।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল থেকে তাদের এই পদত্যাগ শুরু হয়। মধ্যরাতেও চলে তাদের এই পদত্যাগ। 

সাংবাদিকদের হাতে আসা স্কিনশটগুলোতে দেখা যায়, প্রায় কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামিম নামে দুটি গ্রুপ থেকে লিভ দেখা যায়। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেন।

বেরোবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ আরিফ নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, `আজকের ঘটনা আমার আদর্শ বহির্ভূত, তাই আমি সবকিছু (সকল ধরনের রাজনীতি) থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।'

সহসভাপতি ফজলে রাব্বি লেখেন, ‘আমি এক কুলাঙ্গার, ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম।’

পিয়াস লেখেন, ‘আমি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’

সহ-সম্পাদক মো. আল আমিন মিয়া লেখেন, ‘আমি মো. আল আমিন মিয়া। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সম্পাদক পদে আছি। আজ আমি আমার বিবেকের কাছে লজ্জিত হয়ে ছাত্রলীগের পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিলাম। এখন থেকে ক্যাম্পাসের কোনো রাজনীতির সাথে আমি আর যুক্ত নই।’

সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামিম নামে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে একজন ছাত্রলীগ কর্মী লিখেন, ‘একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে এইটা কখনোই মানতে পারব না। সবার চোখের সামনে আমাদের ছোট ভাইয়ের বুকে গুলি করলো, সে মারাও গেল অথচ আমরা চুপ।’

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে বেরোবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন বেরোবির অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ। মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্বও দেন তিনি। দুপুরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বিক্ষোভ মিছিলটি বেরোবি ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। 

এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে শতাধিক টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। এই সংঘর্ষে মিছিলের সামনে থেকে বুক পেতে দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।

এএইচ