ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

জুনে বড় হোচঁট খেয়েছে জনশক্তি রপ্তানি খাত

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : ০৩:১১ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:১৫ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২৪ বৃহস্পতিবার

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধের পাশাপাশি সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের বাজারেও চাহিদা কমেছে। ফলে গেল জুনে জনশক্তি রপ্তানি কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনশক্তি রপ্তনিতে গতি ফেরাতে বিদ্যমান বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজার খুঁজতে হবে।

বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার সৌদিআরব, আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় বড় হোচঁট খেয়েছে জনশক্তি রপ্তানি খাত। গেল জুন মাসে রপ্তানি কমেছে ৫৮ শতাংশ। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য বলছে, গত জুন মাসে বিদেশে যান ৫৫ হাজার ৪৫ জন কর্মী। যা আগের মে মাসে ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৯৬ জন। 

গত বছর ১৩ লাখ কর্মী বিদেশে যান। এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ১২ লাখ। তবে বছরের প্রথম ৬ মাসে গেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৭৮ জন। এ খাতের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন মালয়েশিয়ার বাজার বন্ধ থাকার পাশাপাশি সৌদিআরব ও আরব আমিরাতেও জনশক্তির চাহিদা কমেছে, ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে।  

অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ রাশেদ আলম ভুইয়া বলেন, “সৌদি আরবে ৪-৫ লাখ এবং মালয়েশিয়াতেও গত দু’বছর ৫ লাখ লোক বেশি গিয়েছে। সুতরাং সেখানে লোকবলের চাহিদা কমে আসছে।”

বায়রা সাবেক মহাসচিব মনসুর আহমেদ কালাম বলেন, “সৌদি আরব ছাড়া আর কোনো মার্কেট খোলা নেই। কাজেই ১২ লাখের টার্গেটের পূরণ কিভাবে হবে।”

সম্প্রতি ইউরোপের কয়েকটি দেশ জনশক্তি নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে, কিন্তু এ বাজারে বড় আকারে জনশক্তি রপ্তানির আপাতত সম্ভবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।  

মনসুর আহমেদ কালাম বলেন, “অনেকেই লোক নিতে চাচ্ছে কিন্তু চাইলে কি হবে? আমাদের দেশে তো তাদের কোনো এ্যাম্বেসি নেই।”

মোহাম্মদ রাশেদ আলম ভুইয়া বলেন, “কলকারখানা, কৃষিখাত এবং ফলের বাগানে তাদের লোক দরকার। ইতালি ও ইউরোপের দেশগুলোতে এ ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে।”

জনশক্তি রপ্তানিতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পাশাপাশি দক্ষ কর্মী রপ্তানি ও মানসম্মত অভিবাসনের দিকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞ রাশেদ আলম বলেন, “সবসময় লক্ষ্য থাকে যে আমাকে ১০ লাখ লোক পাঠাতে হবে। এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। লক্ষ্য পূরণে আমাদের এজেন্সিগুলো লোক পাঠাতে থাকে, যতো বেশি লোক পাঠাবে ততো বেশি টাকা। ওই ওখানে যেয়ে তারা কাজ পাচ্ছে কিনা, বেতন পাচ্ছে কিনা সে বিষয় তাদের ফোকাস খুবই কম। এটা পরিবর্তন করতে হবে।”

চলতি বছরের ৩১ মে থেকে বন্ধ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। ভিসা ও কাজের অনুমতি থাকার পরও কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সির গাফেলতিতে ওই সময়ে প্রায় ১৭ হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।

এএইচ