৬৬ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত মোংলা কাস্টমস
মোংলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:০৬ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৪ বুধবার
ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় শুল্কায়ন না হওয়া মোংলা সমুদ্র বন্দরে আটকা পড়েছে নিত্যসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য। শুল্কায়ন করা সম্ভব না হওয়ায় পণ্য খালাসের পাশাপাশি দৈনিক ১৬ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে মোংলা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া মোংলা বন্দরে আমদানি হওয়া গাড়ি খালাস করতে না পারায় দৈনিক ৪০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে গাড়ি আমদানিকারকদের। ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় আমদানি-রপ্তানিকারকরা এই মোটা অংকের টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
তবে স্বাভাবিক রয়েছে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম। আমদানি-রপ্তানিকারকরা বন্দরে আসলে তাদের পণ্য ডেলিভারি নিতে পারবেন, এজন্য সব রকমের প্রস্তত রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষের কমিশনার কে এম মাহাবুবুর রহমান জানান, স্বাভাবিক পরিস্থিতে তাদের প্রতি মাসে রাজস্ব আয় হয় ৩০০ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন রাজস্ব আদায় হয় ১৫ থেকে ১৬ কোটি টাকা। তবে চলমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গত রবি, সোম, মঙ্গলবার এই তিন দিনে মোংলা কাস্টমস হাউজ ৬৬ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নয়, এই পরিস্থিতিতে আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরাও চরম বিপাকে পড়ে মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ইন্টারনেট না থাকায় অনলাইনে শুল্কায়ন করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে পচনশীল পণ্য যাতে খালাস করা যায়, সে জন্য সনাতন পদ্ধতি ‘লোকাল এরিয়া ইন্টারনেট’ চালু রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা চাইলে তাদের পচনশীল পণ্য খালাস করতে পারবে। কিন্তু এই তিনদিনে আমদানি-রপ্তানিকারকদের কেউ আসেননি বলেও জানান তিনি।
এদিকে কারফিউ এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন গাড়ি আমদানিকারকরা।
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন বেহিক্যাল ইমপোটার্স অ্যান্ড ডিলার এ্যাসোসিয়েশনের (বারবিডা) সভাপতি হাবিবুল্লা ডন বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রতিদিন মোংলা ও চট্রগ্রাম বন্দর দিয়ে গাড়ি খালাস করতে ১২০ থেকে ১৫০টি রেজিস্ট্রেশন হয়। সে হিসেবে তাদের প্রতিদিন ৪০ কোটি টাকা আয় হয়। কিন্তু দেশের চলমান পরিস্থিতি গত বুধবার থেকে ঝুঁকি নিয়ে এই দুই বন্দর থেকে একটি গাড়িও খালাস করতে না পারায় চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন তারা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে মোংলা বন্দরকে ঘিরে নাশকতা এড়াতে নৌ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। স্বাভাবিক রয়েছে বন্দরে অবস্থান করা দেশি-বিদেশি জাহাজের কার্যক্রম। গাড়ি আমদানিকারকরা চাইলে মোংলা বন্দর থেকে গাড়ি খালাস করতে পারত। সে ক্ষেত্রে বন্দর কর্তৃপক্ষ সড়ক-মহাসড়কে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বেষ্টনী দিয়ে তাদের সহযোগিতা করত’।
এএইচ