ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

পুলিশ মারলে ১০, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকার ঘোষণা ছিল : ডিবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:২১ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২৪ বৃহস্পতিবার

পুলিশ মারলে ১০ হাজার এবং ছাত্রলীগ মারলে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে; যুক্তরাজ্য থেকে এই নির্দেশনা পেয়ে মাঠে নামেন বগুড়ার যুবদল নেতা নুরে আলম সিদ্দিকি। এই ঘোষণা বাস্তবায়নে আরো দায়িত্ব পালন করেন নুরে আলম সিদ্দিকির দুলাভাই মো. আব্দুল আজিজ ওরফে সুলতান।

সুলতানকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

ডিবি বলছে, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল আজিজ ছাত্রদের মিছিলের ভেতর টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির লোকদের ঢুকিয়ে দিয়ে দেশব্যাপী হত্যা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞ চালান।

তার এ কাজে সহায়তা করে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডাররা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. আব্দুল আজিজ সুলতান টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির লোকদের দিয়ে একজন ছাত্রলীগকে মারলে ৫ হাজার টাকা এবং একজন পুলিশ সদস্য মারলে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ কাজ বাস্তবায়নের জন্য তিনি জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডারদেরও নির্দেশনা দেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তার আসামির প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় রাজধানীর উত্তরা, আব্দুল্লাহপুরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারা ভেবেছিল যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়া যায় তাহলে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির যে ষড়যন্ত্র, তা সফল হবে। সেই মানসিকতা নিয়েই গত বছরের ২৮ অক্টোবরও পুলিশের ওপর হামলা করেছিল। সে সময় একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

পুলিশ হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর করা হয়। স্বাধীনতাবিরোধী চক্রটি আবারও পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন-হামলা ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখেছে। এইটা কি কোনো সভ্য দেশের মানুষের পক্ষে সম্ভব?’

কেআই//