ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

যারা রাষ্ট্রের স্থাপনা ধ্বংস করেছে, তারা দেশের শত্রু : আমু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৪ সোমবার

কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্নয়ক ও মুখপাত্র এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, যারা সহিংসতার নামে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেছে- তারা স্বাধীনতার শত্রু, এ দেশের শত্রু।

আজ সোমবার দুপুরে দুষ্কৃতকারীদের আগুনে পুড়ে যাওয়া মহাখালীর দুর্যোগ ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এর আগে আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে ১৪ দলের একটি প্রতিনিধি দল সেতু ভবন পরিদর্শন করে।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘দেশদ্রোহীদের কর্মকান্ডের কুফল ভোগ করবে জনগণ। জনগণ প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম দুর্দশাগ্রস্থ হবে, অসুবিধায় পড়বে। সন্ত্রাসীরা সে অবস্থা সৃষ্টি করেছে। তারা স্বাধীনতার শত্রু, এ দেশের শত্রু।’

পরিদর্শন শেষে ১৪ দলের সমন্নয়ক বলেন, ৫৩টি গাড়ি, ল্যাপটপ ও ডিজিটাল সেন্টারসহ সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়ার হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ বাধাগ্রস্থ হলো, অসহায় মানুষ বঞ্চিত হলো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মানুষ যে সাহায্য-সহযোগিতা করবে, সেই অবস্থান আজ রাখে নাই। সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এক সময় অন্যরা আমাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিত। কিন্তু এখন সামনে যে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে- সেটা যদি আসে, একটা বন্যা যদি আসে, তাহলে সেটা আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব- তা জানি না।

তিনি বলেন, আমরা যে সক্ষমতা অর্জন করেছিলাম ও পৃথিবীর কাছে প্রশংসনীয় হয়েছিলাম, সেগুলো ধ্বংস করে দিয়ে দুষ্কৃতকারীরা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সমন্নয়ক এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা দুর্যোগ ভবনটাকে আমরা ঢেলে সাজিয়েছিলাম। যে কোনো দুর্যোগ এলে সেটা মোকাবিলার জন্য এই ভবন প্রতীক হিসেবে কাজ করত। যখনই বন্যা, খরা বা দুর্যোগ আসে, তখনই দুর্যোগ অধিদপ্তরে কাজ করতে হয়। কিন্তু আজ এই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার মূল উদ্দেশ্য এ দেশের মানুষ যাতে সেবা না পায়। এরা দুষ্কৃতকারী জামায়াত-শিবির। কোটা আন্দোলনকারীদের কাঁধে ভর করে যারা এসব করেছে, তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে।

এ সময়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশার মাউজভান্ডিরী, আওয়ামী  লীগে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, মৃক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন ও কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহবায়ক ডা. অসিত বরন রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেআই//