ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ইটালিতে পর্যটকের উপর ভালুকের হামলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০৭ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২৪ বুধবার

প্রশাসন আক্রমণকারী ভালুকটিকে গুলি করে হত্য়া করেছে। ট্রেনটো অঞ্চলের পাহাড়ে এই ঘটনা ঘটেছে। পশুপ্রেমী সংস্থাগুলি আন্দোলনে নেমেছে।

ইটালির উত্তরে আলপসের পাদদেশে ট্রেনটো অঞ্চল। পাহাড়ি জঙ্গলে ঘেরা এই অঞ্চলেই বাস করছিল একটি খয়েরি ভালুক। মা ভালুকটি গত বেশ কিছুদিন ধরে সেখানে পর্যটকদের উপর হামলা চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগে এক ফরাসী পর্যটকের উপর সে ভয়াবহ হামলা চালায়। এরপর থেকেই ওই ভালুকের সন্ধানে ঘুরছিল স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার তাকে চিহ্নিত করা হয় এবং গুলি করে হত্য়া করা হয়।

ওই ভালুকটির নাম ছিল কেজেআই। তার সঙ্গে তিনটি বাচ্চা ছিল বলে জানা গেছে। পশুপ্রেমীদের দাবি, ওই শিশু ভালুকগুলিকে রক্ষা করার জন্য়ই বার বার আক্রমণ চালাচ্ছিল মা ভালুক। তাদের অভিযোগ, সম্প্রতি ওই অঞ্চলে পর্যটকদের যাতায়াত বেড়ে গেছিল। সে জন্য়ই নিজেকে এবং শিশুদের সুরক্ষিত বলে মনে করছিল না ওই মা ভালুকটি।

স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য়, গত কিছুদিনে অন্তত সাতবার পর্যটকদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে ওই ভালুকটি। তবে ৪৩ বছরের ফরাসী পর্যটকের উপর আক্রমণ ছিল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। হাতে এবং পায়ে ক্ষত নিয়ে কোনোভাবে এলাকা ছেড়ে পালান ওই পর্যটক। ফোন করে সাহায্য চান।

ইটালির জাতীয় পরিবেশমন্ত্রীও এই ঘটনার বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, স্থানীয় প্রশাসন যা করেছে, তার সঙ্গে তিনি সহমত নন। এভাবে একটি ভালুক মেরে সমস্য়ার সমাধান হবে না। প্রয়োজন ভালুকগুলিকে স্টেরিলাইজ করা। তাদের বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

পশুপ্রেমী দলগুলির বক্তব্য়, এই ঘটনার পর কার্যত অনাথ হয়ে গেল তার সন্তানেরা। তাদের দেখভাল কী করে করা হবে, তা নিয়ে প্রশাসনের কোনো পরিকল্পনা নেই।

আন্দোলনকারীদের দাবি, রাতারাতি ভালুকটিকে মারার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে আইনি ব্য়বস্থা নেওয়ার সুযোগটুকুও তারা পায়নি। অতীতে এমন ঘটনা ঘটেছে। পশুপ্রেমী সংস্থার মামলার জেরে প্রশাসন জারি করা নির্দেশ বদলাতে বাধ্য হয়েছে।

২০২৩ সালে ওই একই এলাকায় আরেকটি ভালুককে মারার নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু পশুপ্রেমী সংস্থাগুলির উদ্য়োগে মামলা হয়। আদালত শেষপর্যন্ত ভালুকহত্য়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। এবারও সময় এবং সুযোগ থাকলে তা করা সম্ভব হতো বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের বক্তব্য়, ওই এলাকাটি ভালুকের থাকার জায়গা। গত কয়েকবছরে সেখানে অবাধে পর্যটকেরা ঘুরছেন। প্রশাসনের উচিত, পর্যটনে রাশ টানা।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এসবি/