ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২৯ ১৪৩১

স্বামীর বিরুদ্ধে মদ-নারী আসর বসানোর অভিযোগ স্ত্রীর

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ১ আগস্ট ২০২৪ বৃহস্পতিবার

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার নটাখোলা গ্রামের নিমাইর বাড়িতে প্রায় রাতেই মদ, গাঁজা ও নারী নিয়ে বসে আসর। এই আসরে আসে প্রভাবশালী সব শ্রেণী পেশার মানুষ। স্থানীয় চেয়ারম্যানের মদদে নিমাই এসব করছে বলে দাবি নিমাইয়ের স্ত্রীর। 

প্রভাবশালীদের দাপটে নিমাইয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না স্থানীয়রা।
 
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম নটাখোলা। হিন্দু অধ্যুষিত এই গ্রামটিতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বাস। এখানেই বসবাস নিমাইয়ের। নিজ বাড়িতেই খুলে বসেন সাউন্ডসিস্টেমের ব্যবসা। আর এই ব্যবসার সাথে সাথে আসেপাশের গ্রামের মেয়েদের এনে তার বাড়িতে রেখে অশ্লীল নাচের আসর বসান। সাথে চলে মদ-গাজা। নিমাইয়ের এই ব্যবসায় স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের মদদ আছে বলে ভয়ে স্থানীয় কেউ কথা বলতে চায় না।

২০ বছর ধরে এই ব্যবসা করছে নিমাই। স্ত্রী বাধা দিলে তার উপর চালায় সীমাহীন অত্যাচার। বিভিন্ন স্থানে বিচার চেয়েও পাননি কোন বিচার। বন্ধ করা যায়নি নিমাইয়ের মেয়ে আর মদের ব্যবসা। বাধ্য হয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি থাকছেন স্ত্রী। চেয়ারম্যানের মদদে নিমাই এই ব্যবসা করছে বলে দাবি স্ত্রীর।

নিমাইয়ের স্ত্রী দিপালী রায় বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে ২০ বছর। তখন থেকেই নিমাই এই ব্যবসা করে। আমি বাঁধা দিলে আমার উপর অত্যাচার করে। এরপর একে এক দুটি সন্তান হয় আমার। সন্তানদের দোহাই দিয়েও আমি এ কাজ করতে না বলেছি। তাতে অত্যাচারের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয়। বাড়ির ভেতর ছোট একটি রুমে আমাদের আটকে রেখে ঘরের মধ্যেই ২০/২৫ জন লোক নিয়ে মদ, গাঁজাসহ মেয়েদের নাচাতো। এছাড়া আরও খারাব কাজ করত। স্থানীয় চেয়ারম্যান বিধানকে জানিয়েছি তিনি দেখব বলে আমাকে বিদায় করে দেয়। এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরীকেও বলেছি। তিনিও বিধান চেয়ারম্যানের মতই দেখছি দেখব করতো। 

দিপালী রায় আরও বলেন, সহ্য করতে না পেরে ২ বছর হলো দুই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে এসেছি। যারা নিমাইকে এই ব্যবসা করতে সহযোগীতা করছে তাদেরও বিচার চাই।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন। এধরণের কোন ব্যবসা রাজৈরে হয় না বলেও তিনি জোর দিয়ে বলেন।

জেলার বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা জানান, বিষয়টি গোপন সূত্রে তারা জানতে পেরেছেন তারা। এই বিষয়ে গোপন তদন্ত শুরু হয়েছে। এরসাথে স্থানীয় প্রভাবশালী ও পুলিশের কেউ জড়িত থাকলে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এএইচ