‘নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে কারাগারে না যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২০ পিএম, ১ আগস্ট ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৩১ পিএম, ১ আগস্ট ২০২৪ বৃহস্পতিবার
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে যাতে কারাগারে যেতে না হয় সে বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ স্বাধীন হলেও প্রোসিকিউশন কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাই যারা সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, যারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী, যারা মাইনর তাদেরকে জামিন দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। যারা অপরাধ করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে। এ ছাড়া উক্ত আইনের তফসিল-২-এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।’
তিনি বলেন, এই দল বা সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পর এর সদস্যরা আর এই নামে রাজনীতি করতে পারবেন না।
জামায়াতের সম্পদের কী হবে? এই প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সেগুলোর ব্যবস্থা হবে।’
দল হিসাবে নিষিদ্ধের পর এর সদস্যদের কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই দলের আন্ডারে তারা রাজনীতি করতে পারবে না। কিন্তু এটা যদি আপনারা বলেন, গণহারে যারা জামায়াতে ইসলামীর নতুন কর্মী হয়েছেন, ১৯৭১-এর পরে যারা জন্ম নিয়েছেন, তাদের বিচার করা হবে- এরকম গণহারে বিচার করা হবে না। তবে তারা যদি বাংলাদেশের কোন আইনে অপরাধ করে থাকে, তাহলে অবশ্যই তাদের বিচার হবে।’
নিষিদ্ধ করা হলে জামায়াত-শিবির আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে কি না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে। আন্ডারগ্রাউন্ডে অনেক দল গেছে, নকশালসহ অনেক দলের কী হয়েছে, সেটার ইতিহাস আপনারা জানেন। তবে সেটাকে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।’
এসবি/